বিয়ে করতে যাচ্ছেন সাতষট্টি বছর বয়সী রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
Published : 02 Sep 2014, 01:40 PM
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তিন বছরের পরিচিত পাত্রীকে ঘরে তুলবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী নিজেই। তবে নাম, বয়স বা পরিচয় কোনোটাই জানা যায়নি।
মঙ্গলবার রেল মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে কিছুটা লাজুক ভঙ্গিতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ইনশাল্লাহ, বিয়ে করতে যাচ্ছি। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিয়ের অনুষ্ঠান ঢাকা ও কুমিল্লায় হবে।”
পাত্রীর নাম ও বয়সের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গ্রামের সহজ সরল সাদাসিধে মেয়ে, ধীরে ধীরে সব জানতে পারবেন। মাস্টার্স পাস করে আইনেও পড়েছেন, তো বয়স বুঝতেই পারছেন। পাত্রী পরহেজগার, বোরকা ছাড়া চলে না। ভাল পরিবারের মেয়ে। তার বাড়ি কুমিল্লায়। এর বেশি বলা যাবে না।”
নাম জানতে চাইলে মুজিবুল হক বলেন, “নাম এখনই বলা যাবে না, যদি ফিরে যায়! কুমিল্লা জেলার যে কোন উপজেলায় তার বাড়ি।”
কোন ঘটক বা কারো সহযোগিতায় বিয়ে হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “কোন ঘটক না, পাত্রীর সাথে আমার তিন বছর ধরে পরিচয়, পরিচয়ের সূত্র ধরেই বিয়ে করতে যাচ্ছি।”
তিন বছরের পরিচয়কে প্রেম বলা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তিন বছর থেকে শুধু পরিচয়। এই পরিচয় থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত। এর বেশি কিছু না।”
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে ১৯৪৭ সালের ৩১ মে জন্মগ্রহণ করেন মুজিবুল।
তথ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন মুজিবুল।
১৯৯৬ সালে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মুজিবুল।
২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর পুনঃবণ্টনকৃত মন্ত্রিপরিষদে মুজিবুল রেলপথ এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন সরকারের এবারের মেয়াদেও গত ১২ জানুয়ারি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান কুমিল্লা-১১ আসনের সাংসদ মুজিবুল।
৬৭ বছর বয়সে কেন এই সিদ্ধান্ত এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “দেখলাম মানুষের জীবনের শেষ বয়সে এক জন সঙ্গিনী দরকার, যাতে পরবর্তী জীবনে নিঃসঙ্গ না থাকতে হয়, বাকি জীবনটা ভালভাবে কাটানোর জন্য।”
বিয়ের পর নতুন বউকে নিয়ে ঢাকায় সংসার পাতবেন বলেও জানান তিনি।