রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ক্যাম্পে সংঘাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি।
Published : 16 Jun 2014, 07:52 PM
ওই সংঘাতে হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার পাশাপাশি শনিবারের ওই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েক হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে করা ছয়টি মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে দলটি।
সোমবার কালশী ঘুরে এসে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শবে বরাতে আতশবাজি পোড়ানো নিয়ে গত শনিবার ভোরে কালশীর ক্যাম্পে সংঘাত বাঁধে। কয়েকটি ঘরে আগুন দেয়া হলে পুড়ে মারা যান নয়জন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান একজন।
ফখরুল বলেন, “ঘরে তালা বন্ধ করে আগুন লাগিয়ে নয়জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এটা ভয়াবহ জঘন্যতম ও বর্বরোচিত ঘটনা।
“আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মানুষজনের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পেরেছি, ওই ঘটনার পেছনে অভিযোগের আঙুল স্থানীয় সংসদ সদস্যের দিকে। এই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে আমরা দ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি।”
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা জমি দখলের জন্য যুবলীগের সদস্যদের দিয়ে এই হামলা চালান বলে ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের জানিয়েছেন।
“বিহারি ক্যাম্পের বিদ্যুৎ লাইন থেকে অবৈধভাবে পাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য কয়েকদিন আগে ওই সংসদ সদস্য (ইলিয়াস মোল্লা) বিহারিদের হুমকিও দিয়ে এসেছিলেন।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এই সব কটি মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করেন।
বিএনপি নেতারা দুপুরের পর কালশীতে গিয়ে নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তরা আমাদের বলেছেন, তারা তিনদিন অভুক্ত অবস্থায় আছেন। অথচ সরকারের কোনো সংস্থা তাদের দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসেনি।”
নিহত পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, শিরিন সুলতানা প্রমুখ।