ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যাকাণ্ডে সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীকে জড়িয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ করেছে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন।
Published : 22 May 2014, 07:39 PM
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর স্থানীয় একটি রেস্তরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
জয়নাল হাজারীর পত্রিকা ‘হাজারিকায়’ প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে ফেনী ২ আসনের নিজাম হাজারী বলেন, “(জয়নাল হাজারীকে) পুলিশ রিমান্ডে আনলেই আমি মনে করি সকল তথ্য বেরিয়ে যাবে।”
ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ ও একরামুল হকের পরিবার কোন প্রতিক্রিয়া ও মামলা করার আগেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এ হত্যাকাণ্ডকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলায় তার সমালোচনা করে নিজাম বলেন, “বিএনপি হত্যাকারীদের আড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”
গত উপজেলা নির্বাচনে অন্য উপজেলার চাইতে বেশিবার একরামুলের নির্বাচনী প্রচার কাজে যোগ দেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “একরামের সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। একরাম আমার অন্যতম সহযোগী ও ছোটভাই তুল্য।
“জেলে থাকা অবস্থায় একরাম আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া উপজেলা নির্বাচনে আমিও একরামকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছি। ফেনীর সার্বিক উন্নয়নে আমরা একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করছিলাম।
“সন্ত্রাসী হামলায় একরাম নিহত হওয়ার সময় আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন নাসিম চৌধুরীর বাসায় ছিলাম। খবর পেয়ে আমি ও নাসিম হেলিকপ্টার যোগে ফেনী আসি।”
একরামের মতো জনপ্রিয় চেয়ারম্যানকে হত্যা করাকে ফেনীর উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার নীল নকশা মনে করছেন তিনি।
একরাম হত্যার সঙ্গে তার দলের লোক জড়িত থাকলে তদন্ত করে বিচারের আওয়তায় আনা হবে এবং খুনিদের খুঁজে বের করতে সকলে মিলে পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করার কথাও বলেন তিনি।