ফেনীর ফুলগাজীর উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
Published : 21 May 2014, 04:47 PM
বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্বাচনী এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের এই নেতার হত্যাকাণ্ডের পেছনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দায়ী করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার ফেনী শহরে গুলিবর্ষণের পর গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয় একরামকে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দায়ী করেন।
পরে মামলায় প্রধান আসামি করা হয় ফুলগাজীর বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মিনারকে, যিনি কয়েকমাস আগে ভোটে একরামের কাছে হেরেছিলেন।
এই বিষয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বুধবার নয়া পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন,তদন্তের আগেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে এই ঘটনার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে।
“গতকাল ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পরপরই কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ওই হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।”
“প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিবৃতি প্রদান থেকে বোঝা যায়, সরকার থলের বিড়ালটি থলিতেই রাখতে চাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, যত চেষ্টা করা হোক না কেন, আসল বিড়ালটি বেরিয়ে পড়বে এবং মিথ্যা অপসৃত হবেই।”
অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, “একরাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ক্ষমতাসীনদের অভ্যন্তরীণ অন্তঃকোন্দলের ফল। আজ প্রকাশিত সব দৈনিকে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে।
“একরাম জয়নাল হাজারীর স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলেন। সেসময়ে ফেনী ছিল সন্ত্রাসকবলিত জেলা। ফেনী সদরের সংসদ সদস্য নিজামউদ্দিন হাজারীর সঙ্গে একরামের দ্ব›দ্ব চরম আকারে ছিল, যা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।”
বিএনপির নেতা মাহতাব মিনারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, “সরকারের দমন-পীড়নের কারণে বিএনপি নেতা-কর্মীরা যেখানে এলাকাতেই থাকতে পারছে না, সেখানে ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সংর্ঘষে লিপ্ত হওয়া কোনো পাগলেও বিশ্বাস করবে না।”
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের পর ফেনী ও নোয়াখালীতে একই দিনে তিনটি হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আওয়মী লীগের ‘অপশাসনে’ সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে চরম অবনতি হয়েছে, তাই এখন প্রকাশিত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন, আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, রেহানা আখতার রানু উপস্থিত ছিলেন।