জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সরকার বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
Published : 08 Nov 2013, 11:20 PM
শুক্রবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হরতালের নামে আগুন দিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। মানুষ হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। এই হরতাল উস্কানিমূলক।
“নাশকতা ও অন্তর্ঘাতমূলক কাজ থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার।”
বিকালে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিবদের বৈঠক শেষে রবি থেকে মঙ্গলবার ৭২ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এরপর রাতে কারওয়ান বাজারে হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনে থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়াকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
বিএনপির আরো কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার খোঁজে তাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
দশম সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে চায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। তবে তা মানতে নারাজ আওয়ামী লীগের প্রস্তাব নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার।
দুই দলকে সমঝোতায় আনতে কূটনীতিক ও ব্যবসায়ীদের চাপে সংলাপের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গত দুই সপ্তাহে ছয় দিন হরতাল করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলীয় জোট।
হরতালকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাংচুর, বামাবাজি ও অগ্নিসংযোগ চলে; এতে প্রাণহানীও ঘটে।
ইনু বলেন, “সংলাপ যখন কার্যকর রূপ নিতে চলেছে, তখন ৩দিন-৩দিন ৬ দিন হরতালের পর আবার ৩ দিনের হরতাল অমানবিক, মানবতাবিরোধী, শিক্ষাবিরোধী এবং দেশবিরোধী।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, হরতালের কারণে ২১ লাখ শিশু পরীক্ষা দিতে পারছে না। এই সময়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা হয়।
“এই সব উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিবৃতি না দিয়ে তারা সমর্থন করেছে।”
ইনুর ভাষায়, হরতালের আগে ‘অগ্নিসংযোগ ও অন্তর্ঘাতমূলক’ যেসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, তা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শামিল।