দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে পিলখানা হত্যামামলায় যাবজ্জীবন সাজা দেয়াকে ‘রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি’ বলেছে বিএনপি।
Published : 05 Nov 2013, 04:38 PM
চার বছর আগে পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের মঙ্গলবার ঘটনায় দেয়া রায়ে আদালত পলাতক বিদ্রোহীদের পালাতে সহযোগিতা করায় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই মামলায় ঢাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা তোরাব আলীকেও একই সাজা দেয়া হয়। এই মামলায় বিদ্রোহী ১৫২ জওয়ানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সংসদ সদস্য পিন্টুর সাজাকে ‘প্রহসনমূলক’ দাবি করে তার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন।
তিনি বলেন, “গভীর চক্রান্তের মাধ্যমে নাসিরউদ্দিন পিন্টুকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
“পিলখানার বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে সরকারি ব্যর্থতার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্যই রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলকভাবে পিন্টুকে জড়ানো হয়েছে।”
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় অনেকের নাম গণমাধ্যমে এসেছিল জানিয়ে ফখরুল বলেন, “কিন্তু তা আমলে নেয়া হয়নি।”
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে ফখরুলের কাছে সার্বিকভাবে রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রায় নিয়ে আমাদের বক্তব্য নেই। এটা বিডিআরের বিষয়।
“আমাদের নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। সেজন্য তার সাজার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”