আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বিরোধী দল ৬০ ঘণ্টার হরতাল প্রত্যাহার করলে তবেই বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আওয়ামী লীগ।
Published : 03 Nov 2013, 04:10 PM
নির্বাচন নিয়ে চলমান সংকট নিরসনে দুই বড় দলের মহাসচিব পর্যায়ে ‘নিঃশর্ত’ সংলাপে বসার বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের প্রস্তাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সায় দেয়ার পরদিন ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে এই প্রতিক্রিয়া এলো।
“কালকের হরতাল প্রত্যাহার করে নিন। তাহলে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ আলোচনায় বসতে রাজি। না হলে কোনো আলোচনা নয়।”
সরকার সংলাপের বিষয়ে আন্তরিক নয়-এমন অভিযোগ তুলে সোমবার থেকে ৬০ ঘণ্টার এই হরতাল ডেকেছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আন্দোলন চালিয়ে আসা বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল।
এর আগে গত সপ্তাহের শুরুতেও একই দাবিতে তিন দিন হরতাল করে বিরোধী দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করে হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে গণভবনে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, হরতালের পর তিনি ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গ টেনে সৈয়দ আশরাফ সমাবেশে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কয়েক দিন আগে আলোচনার জন্যই বিরোধী দলীয় নেতাকে ফোন করেছিলেন। আলোচনার জন্যই প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে ৩৭ মিনিট কথা হয়।
“গণমাধ্যমে যা শুনেছেন তা আপনারা সামান্যই শুনেছেন। আরো অশ্লীল কথা বলেছেন বিরোধী দলীয় নেত্রী। আপনাদের সবটাই শোনা হয়নি।”
প্রধান দুই দলের এই মুখোমুখী অবস্থানের কারণে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কায় গত সপ্তাহে সমঝোতার উদ্যোগ নেন ব্যবসায়ীরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর শনিবার বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে বসেন তারা।
বৈঠক শেষে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সংকট নিরসনে নিঃশর্তভাবে দুই দলের মহাসচিবকে আলোচনায় বসার জন্য বিরোধীদলীয় নেতার কাছে প্রস্তাব করেছি। এই প্রস্তাবে বিরোধীদলীয় নেতা রাজি হয়েছেন।”