এই মুহূর্তে হরতালের চেয়ে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে সংলাপের বিরোধীদলীয় নেতার সাড়া প্রত্যাশা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
Published : 02 Nov 2013, 02:21 PM
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধী দলের আরো ৬০ ঘণ্টার হরতাল আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “হরতাল দিল, কী দিল না- সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই।
“মৌলিক রাজনীতির বিষয়গুলো আমাদের কাছে মুখ্য। নির্বাচন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন- সেটাই হলে আমাদের কাছে মূল ইস্যু।”
হরতাল আহ্বানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে শনিবার দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আশরাফ।
বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমরা অপেক্ষায় আছি তিনি (খালেদা জিয়া) কবে আসবেন।”
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কার মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
শেখ হাসিনা সংলাপে বসতে খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেও হরতালের মধ্যে সে আমন্ত্রণ রক্ষায় রাজি হননি তিনি। হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেন বিরোধী নেত্রী।
এরপর পুনরায় সংলাপের আমন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষ পরস্পরকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে।
অন্যদিকে বিরোধী দল বলছে, সংলাপ চাইলে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
শনিবার হরতাল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে সংলাপের বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
“২৯ অক্টোবরের পর নতুন তারিখ ঠিক করে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বিরোধীদলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানালেও তা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) রক্ষা করেননি। এ থেকে বোঝা যায়, সরকার সংলাপ চায় না।”