চোট শঙ্কায় মেসি, বিশ্রাম পেতে পারেন পেরুর বিপক্ষে

ডান পায়ের ঊরুর সমস্যায় ভুগছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।

কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকেট নিশ্চিতের ম্যাচে আর্জেন্টিনার জন্য শঙ্কা হয়ে এসেছে লিওনেল মেসির চোটের খবর। চিলির বিপক্ষে ডান পায়ের ঊরুর সমস্যায় ভুগতে দেখা গেছে দলটির অধিনায়ককে।

আগামী রোববার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পেরুর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্টের শেষ আটে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় পরের ম্যাচের একাদশে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি। ঊরুর চোট থাকায় ওই ম্যাচে মেসির বিশ্রাম পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে বুধবার চিলিকে ১-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। ৮৮তম মিনিটে মেসির কর্নার কিক থেকে তৈরি হওয়া সুযোগেই জয়সূচক গোলটি করেন লাউতারো মার্তিনেস।

তবে পুরো ম্যাচে ঠিক চেনা রুপে ছিলেন না মেসি। ২৪তম মিনিটে প্রথম ডান পায়ের ঊরুর সমস্যা টের পান। প্রাথমিক শুশ্রূষা নিয়ে খেলা চালিয়ে যান তিনি। এরপর খেলা চলাকালে আরও কয়েকবার নিজেই ঊরুতে মালিশ করতে দেখা যায় তাকে।

অস্বস্তি থাকলেও পুরো ম্যাচ খেলেন মেসি। ম্যাচ শেষে বিশ্বকাপ জয়ী এই মহাতারকা বললেন, এই চোটে বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

“আমি কী জানি? আমি এটি নিয়ে তেমন চিন্তিত নই। পুরো ম্যাচ শেষ করতে পেরেছি। আশা করি, এটি গুরুতর কিছু নয়।”

“প্রথমার্ধের শুরুর দিকের ঘটনা। (পায়ে) তেমন সাড়া পাচ্ছিলাম না। অস্বস্তিতে স্বাভাবিক নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। আগামীকাল দেখা যাক কী অবস্থা দাঁড়ায়।”

মেসি জানান, কানাডার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর থেকেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি।

“গত কয়েকদিনে জ্বর, গলা ব্যথায় ভুগেছি আমি। হতে পারে আজকের ম্যাচে এগুলোর কারণেও সমস্যা হয়েছে আমার। এগুলো এমন না যে, পুরোনো কিছু। সাময়িক সমস্যা। আমরা দেখব এসব।”

পেরুর বিপক্ষে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে মেসি বলেন, “দেখা যাক, সামনের দিনগুলো কেমন যায়, কতটা সেরে উঠতে পারি। আমরা কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার এবং চাপমুক্ত থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ নিয়েছি। এই টুর্নামেন্টে অনেক খেলা, অনেক ভ্রমণ।”

গত বছরের নভেম্বর থেকেই ছোটখাটো চোটের সঙ্গে লড়াই চলছে মেসির। সেবার প্রায় একই চোটে ব্রাজিলের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ পুরোটা খেলতে পারেননি আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।

এরপর গত মার্চে ইন্টার মায়ামির জার্সিতে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন আটবারের ব্যালন দ'র জয়ী ফুটবলার৷ ওই চোটে আর্জেন্টিনার দুটিসহ বেশ কয়েকটি ম্যাচ বাইরেই থাকতে হয় তাকে।