‘সাধিলাম, খাইলেন না’

প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ বিরোধীদলীয় নেতা প্রত্যাখ্যান করলেও সংলাপের ক্ষেত্রে সরকারি দলের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2013, 11:25 AM
Updated : 30 Oct 2013, 11:29 AM

বুধবার গণভবনে দলের এক সভায় বক্তব্যে দুই নেত্রীর টেলিফোন আলাপের প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেছেন, “সাধিলাম, খাইলেন না।”

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কার মধ্যে বিরল এক ঘটনার জন্ম দিয়ে গত শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনকে টেলিফোন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

শেখ হাসিনা সংলাপে বসতে খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেও হরতালের মধ্যে সে আমন্ত্রণ রক্ষায় রাজি হননি তিনি। হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেন বিরোধী নেত্রী।

এরপর পুনরায় সংলাপের আমন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষ পরস্পরকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে।

এর মধ্যে গণভবনের ওই অনুষ্ঠানে সরকারের মুখপাত্র আশরাফ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিরোধীদলীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কয়েকদিন পর এখন তারা আবার আমন্ত্রণ চাচ্ছেন।

বিরোধীদলীয় নেতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উনার সব সময় রাজকীয় ভাব। একবার দাওয়াত দিলাম। আবার দাওয়াতের জন্য বসে আছেন। আমরা একশ’ বার দাওয়াত দেব!

“প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ স্ট্যান্ডিং। আমরা তার রিপ্লাইয়ের (জবাব) জন্য অপেক্ষা করছি,” বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আশরাফ।

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশকে সামনে রেখে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর জেলার দলীয় সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠক হয়।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। তবে আশরাফের বক্তব্যের সময় সভায় ছিলেন না তিনি।

সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে গাজীপুরের নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, “তারা (বিরোধী দল) উদ্যোগ না নিলে আলোচনার দরকার নাই। আমাদের কর্মীরা নির্বাচনের প্রচারণার জন্য নির্দেশনা চায়।”

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সিদ্ধান্ত, প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেয়ায় সংলাপ এগিয়ে নিতে হলে এখন পরবর্তী টেলিফোন খালেদা জিয়াকে করতে হবে।

তবে এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাল্টা বক্তব্য, “আমরা কেন টেলিফোন করব। সংলাপের উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে। নইলে প্রমাণিত হবে তাদের সদিচ্ছা নেই।”

সংলাপের প্রসঙ্গ ধরে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের গড়া বিএনপিকে ‘অস্বাভাবিক রাজনৈতিক দল বলেও আখ্যায়িত করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

“বিএনপি ইজ নট এ নরমাল পলিটিক্যাল পার্টি। কমপ্লেক্স পলিটিক্যাল বিষয় নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করা দুরূহ। মিলিটারি কায়দার রাজনৈতিক দলের মনোভাব বোঝা কঠিন।”