জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত আওয়ামী লীগের সমাবেশমঞ্চে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 03 Nov 2013, 03:13 PM
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছালে করতালি ও জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে কোরআন, গীতা, ত্রিপিঠক ও বাইবেল থেকে পাঠের মধ্যে দিয়ে সমাবেশের সূচনা হয়।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, নূহ উল আলম লেনিন, আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালেদ মাহমুদ চৌধুরীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা সভামঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।
সমাবেশের সূচনা বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জমান সোহাগ বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “২৫ তারিখ এই সোহরাওয়র্দী উদ্যানে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে আস্ফালন করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবি করেছেন। ছাত্রসমমাজ আপনাকে ধিক্কার জানায়।”
সোমবার থেকে তিন দিনের হরতালের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করে হরতাল দিয়েছেন। এজন্য ছাত্র সমাজ আপনাকে ধিক্কার জানায়। ৮ তারিখের পরে যদি কোনো হরতাল হয়, তবে ছাত্রসমাজ দাঁত ভাঙা জবাব দেবে।”
তারপর বক্তব্য দেন আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, যুব মহিলালীগের সভাপতি নাজমা আকতার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কায়সার, কৃষকলীগের সভাপতি মোতাহের হোসেন মোল্লা, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ ও শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ।
বেলা ১২টা থেকেই ঢাকা এবং এর আশেপাশের এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা স্থানীয় নেতাদের ছবি সম্বলিত পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে মিছিল করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকে। ওই সময় থেকেই মঞ্চের মাইকে বাজানো হয় ‘জাগরণের গান’।
সমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশে-পাশের এলাকায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।
পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এবং প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজজিআর) সদস্যরা উদ্যানের প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে আছেন।
এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরাও সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতকর্মীদের তল্লাশি করছেন।
এ সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্লাস টাওয়ারের পূর্ব দিকে দক্ষিণমুখো মঞ্চ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, কার্যোনির্বাহী সংসদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা মঞ্চে রয়েছেন। আর মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, হুইপ ও অন্যান্য নেতারা মঞ্চের দক্ষিণ দিকের প্যাণ্ডেলে বসেছেন। উত্তর দিকের প্যান্ডেলে রয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ৩ নভেম্বর কারাবন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় তার চার সহচর, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে।
দিবসটি উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আগে সকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং বনানী কবরস্থানে জাতীয় নেতাদের কবরে ফুল দেয় আওয়ামী লীগ।
এছাড়া ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।