প্রধানমন্ত্রীর ফোন কলে সাড়া না দেয়ায় সংলাপ চাইলে এখন বিএনপিকে উদ্যোগ নিতে হবে।
Published : 28 Oct 2013, 03:53 PM
হরতালের পর সংলাপের আমন্ত্রণ জানাতে বিএনপির আহ্বানের প্রেক্ষাপটে সোমবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকের পর মোহাম্মদ নাসিম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “১৪ দলের বক্তব্য হচ্ছে, ২৯ তারিখের পরে সংলাপে বসতে চাইলে উদ্যোগ বিরোধী দলকেই নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে সংলাপের বিষয় ঠিক করতে হবে।”
তিন দিন হরতালের পর বিরোধী দলকে আবার সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না- সে বিষয়ে দল ও ১৪ দলের ভেতরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে বলে রোববার জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
তার একদিন আগেই বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গণভবনে সোমবার বিরোধীদলীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন হরতাল প্রত্যাহার সম্ভবপর নয় জানিয়ে এই কর্মসূচির পর সংলাপে রাজি থাকার কথা জানান। এরপর বিএনপি নেতারা হরতালের পর সংলাপের আমন্ত্রণ পাওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
হরতালের মাধ্যমে বিরোধী দল দেশে ‘নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে দাবি করে এর প্রতিবাদে আগামী ১ নভেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশে সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে ১৪ দল।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ১৪ দলের বৈঠকে নাসিম ছাড়াও ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও দীপু মনি প্রমুখ।