২১ অগাস্টের মতো ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য বিএনপি-জামায়াত চক্রকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
Published : 21 Aug 2013, 10:38 AM
বুধবার নিজের ফেইসবুক ফ্যানপেইজে এক পোস্টে ২১ অগাস্টকে তিনি উল্লেখ করেছেন জাতির জন্য একটি ‘কালো দিন’ হিসাবে।
জয় লিখেছেন, “এটা ছিলো বিএনপি-জামায়াত আমলের সন্ত্রাসী হামলাগুলোর চরম মাত্রা। তাদের পাঁচ বছর ছিল এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলায় পূর্ণ। ২০০১ এর নির্বাচনের ঠিক পরপর সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার জোয়ার বয়ে যায়। রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে বোমা হামলা, আমাদের আদালতগুলোতে বোমা হামলা অনেক হামলার মাঝে কয়েকটি মাত্র। শেষ পর্যন্ত সারাদেশে ৫০০ স্থানে একই সময়ে বোমা হামলাও হয়েছিলো।”
একেই বর্তমান বিরোধী দলের ‘চরিত্র’ হিসাবে তুলে ধরে জাতির উদ্দেশে জয় বলেছেন, “বাংলাদেশে এমন সন্ত্রাসের ফিরে আসার বিন্দুমাত্র আশঙ্কাকে 'না' বলতে অনুগ্রহ করে আমার সঙ্গে যোগ দিন।”
২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়ার ঠিক আগে উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
সেই হামলার ঘটনা স্মরণ করে জয় লিখেছেন, “এই দিন আমার মায়ের ওপর মারাত্মক গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। হামলায় আমাদের দলের ২৩ জন মারা গিয়েছিলেন, আহত হন চারশ'র বেশি সদস্য। নিহতদের মধ্যে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানও ছিলেন। তার ছেলেমেয়ের সঙ্গেই আমি আর আমার বোন বড় হয়েছি।”
তখনকার বিএনপি সরকার ওই হামলার পরিকল্পনা করেছিল উল্লেখ করে হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তির ভিডিও শেয়ার করেছেন জয়। সেই সঙ্গে দিয়েছেন ওই হামলার খবরের একটি ভিডিও লিংক।
তিনি লিখেছেন, “হাওয়া ভবনে তারেক রহমানের অফিস এই হামলার পরিকল্পনাটা কিভাবে করা হয়েছিল তা বিস্তারিত এই স্বীকারোক্তিতে বলেছেন হান্নান। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরীসহ তারেক সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন।”
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২১ অগাস্টের ঘটনার সম্পূরক অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ও বাবরকেও আসামি করা হয়েছে।
জয়ের নামে খোলা এই ফ্যানপেইজকে মঙ্গলবার রাতে স্বীকৃতি দিয়েছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ।
স্বীকৃতির নিদর্শন হিসেবে এই পেইজের প্রোফাইল ছবির সঙ্গে জয়ের নামের পাশে ‘নীল টিক চিহ্ন’ দেখা যাচ্ছে, যাতে মাউসের কার্সর রাখলে ‘ভেরিফাইড পেইজ’ লেখা ভেসে উঠছে।
ফেইসবুকে জয়ের নামে অনেকগুলো পেইজ খোলা থাকলেও এটিই তার অফিসিয়াল পেইজ।