আদালত থেকে বের হয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার উদ্দেশে একটি উড়োজাহাজে চেপে রওনা হন তিনি।
Published : 26 Jun 2024, 09:43 AM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল নর্দান মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী সাইপ্যানের একটি আদালতে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষ স্বীকারের পর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার একজন মুক্ত মানুষ হিসেবে তিনি আদালতে থেকে বের হয়ে আসেন, জানিয়েছে রয়টার্স।
তিন ঘণ্টা শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরার উদ্দেশে একটি উড়োজাহাজে চেপে সাইপ্যান ছাড়েন তিনি।
উইকিলিকস জানিয়েছে, মাল্টাভিত্তিক ভিস্তাজেটের একটি ভাড়া করা উড়োজাহাজে করে তিনি দেশে ফিরছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় ৬টা ৪১ মিনিটের দিকে তিনি ক্যানবেরায় নামাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাইপ্যান থেকে ক্যানবেরায় পৌঁছতে তার প্রায় ৬ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মতো লাগবে।
মার্কিন ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ আইন লঙ্ঘনের দায় স্বীকার করে নেওয়ার চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে আপস রফায় পৌঁছানোর পর সোমবার যুক্তরাজ্যের একটি উচ্চ নিরাপত্তার কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। চুক্তি অনুযায়ী পরদিন মঙ্গলবার সকালেই তিনি যুক্তরাজ্য থেকে নর্দান মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
বুধবার সাইপ্যানের আদালত ভবন থেকে বের হওয়ার সময় সব ক্যামেরা মুক্ত অ্যাসাঞ্জের প্রথম মুহূর্তটি ধরার জন্য উৎসুক হয়েছিল।
আদালত থেকে বের হয়ে অ্যাসাঞ্জ কোনো বিবৃতি দেনটি, কোনো মন্তব্য করেননি কিন্তু সেখানে জড়ো হওয়া লোকজনের উদ্দেশে একটু হেসে মাথা নেড়ে অভিবাদন জানান তারপর কাছে থাকা একটি গাড়িতে উঠে চলে যান।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের স্ত্রী স্টেলা মরিস অ্যাসাঞ্জ বুধবার সকালের সব ঘটনা অনুসরণ করছিলেন আর একের পর এক লাইভ আপডেট দিচ্ছিলেন। এরপর আদালত যখন অ্যাসাঞ্জকে এক মুক্ত মানুষ হিসেবে ঘোষণা করে স্টেলা সামাজিক মাধ্যম এক্স এ তার স্বামীর একটি ছবি পোস্ট করেন, ছবিতে অ্যাসাঞ্জের পরা টি-শার্টে লেখা ‘ট্রুথ’।
মুক্তির মাধ্যমে অ্যাসাঞ্জের ১৪ বছর ধরে চলা আইনি কাহিনী শেষ হল। তিনি পাঁচ বছর ব্রিটেনের উচ্চ নিরাপত্তার বেলমার্শ কারাগারে বন্দি ছিলেন, এর আগে লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন আরও সাত বছর।
যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের ১৮টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এসব অভিযোগের মুখোমুখি করার জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিতে চাইছিল মার্কিন বিচার বিভাগ। কিন্তু অ্যাসাঞ্জ সর্বশক্তি দিয়ে তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ ঠেকানোর চেষ্টা করে গেছেন।
আরও পড়ুন:
উইকিলিকস: যুক্তরাষ্ট্রে দোষ স্বীকারের শর্তে মুক্ত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্