তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার না হলে আরো হরতালের হুমকি দিয়েছে বিএনপি।
Published : 28 May 2013, 11:32 AM
“আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও অপপ্রচার বন্ধ না করলে আগামীকালের হরতালই শেষ হরতাল হবে, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই,” বলেছেন শামসুজ্জামান দুদু।
দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ডাকা হরতালের আগের দিন মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এই হুমকি দেন।
মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে পরোয়ানা জারির পর বুধবার হরতালে ডেকেছে ১৮ দল।
বিএনপির অভিযোগ, গত সপ্তাহে লন্ডনে বিএনপির সভায় তারেকের বক্তব্যের পর বিভিন্ন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে এই পরোয়ানা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।
শামসুজ্জামান বলেন, “আমরা সব সময় বলে আসছি, তারেক রহমান আদালতের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন আছেন। চিকিৎসা শেষে তিনি দেশে ফিরবেন। তার বিরুদ্ধে সরকার ও তার মন্ত্রীরা মিথ্যাচার করছেন, অপপ্রচার চালাচ্ছেন।”
ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনী, কম্বোডিয়ার নেতা নরোদম সিহানুক, ফিলিপাইনের নেতা বেনিনিয়ো একুইনো, তিব্বতের নেতা দালাই লামা, পাকিস্তানের নেত্রী বেনজীর ভুট্টোর ভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার কথা তুলে ধরে শামসুজ্জামান বলেন, তারেক রহমানও দেশে ফিরে আসবেন।
তারেক রহমান নিয়ে আন্দোলনের কারণে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবির আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি না- প্রশ্ন করা হলে বিএনপি নেতা বলেন, “দলের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার পক্ষে নেতা-কর্মীরা আন্দোলন করবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে এই আন্দোলনের কারণে নির্দলীয় সরকারের দাবি থেকে আমরা সরে যাইনি।”
নয়া পল্টনে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারসহ আটক সব নেতার মুক্তি দাবি করেন শামসুজ্জামান।
হরতালের আগের দিন মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হাতবোমা বিস্ফোরণের জন্য সরকারকে দায়ী করেন তিনি।
“আমাদের হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই।”
“যারা এসব কর্মকাণ্ড করেছে, সরকারের উচিৎ তাদের গ্রেপ্তার করা। তা না হলে আমরা ধরে নেবো, এর সঙ্গে সরকারের যোগসূত্র রয়েছে। আমরা মনে করি, এসব বিশৃঙ্খলার সঙ্গে সরকারের ইন্ধন রয়েছে,” বলেন শামসুজ্জামান।
তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে শামসুজ্জামানের সঙ্গে ছিলেন দলের সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।