নতুন ইসিতে যারা
Published: 08 Feb 2012 06:13 PM BdST Updated: 08 Feb 2012 06:13 PM BdST
নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ ছিলেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা।
মঈনুল হক চৌধুরী
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ঢাকা, ফেব্র“য়ারি ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ ছিলেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৭১ সালে ২ নম্বর সেক্টরে খালেদ মোশাররফের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সাবেক এই সিএসপি কর্মকর্তাকে বুধবার রাষ্ট্রপতি সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেন।
১৯৪৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া কাজী রকিব ২০০৩ সালে শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে যান। তিনি বিসিএসের ১৯৭৩ ব্যাচের কর্মকর্তা।
যশোরে নানা বাড়িতে জন্ম নেওয়া রাকিব পড়াশোনা করেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রসায়ন বিভাগে ডিগ্রি নিয়ে ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগও দিয়েছিলেন তিনি।
তবে এরপর সিএসপি (সিভিল সার্ভিস অফ পাকিস্তান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিকে পেশা হিসেবে বেছে নেন কাজী রকিব।
১৯৭১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসডিও থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন তিনি। কাজী রকিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ৪ ও ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার পর ১৯৭১ সালের মে মাসে তিনি ভারতে যান। এরপর মুজিবনগর সরকারের আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন।
এক সময় কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ছিলেন কাজী রকিব। পর্যায়ক্রমে যুগ্ম সচিব হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যোগ দেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে রিচার্স ফেলো (সেন্টার ফর পপুলেশন স্টাডিজ) ছিলেন ১৯৭৫-৭৬ সালে এবং বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেন ’৭৮ সালে।
এরপর দেশে ফিরে পুনরায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যোগ দেন। বিসিআইসি, টিসিবির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, তথ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালনের পর সর্বশেষ সংসদ সচিবালয়ের সচিব হিসেবে ২০০৩ অবসর নেন কাজী রকিব।
কাজী রকিবের আদি বাড়ি ছিল ভারতের নদীয়ায়। বর্তমানে পৈত্রিক বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। তার বাবা কাজী রায়হান উদ্দিন আহমদ ছিলেন ব্রিটিশ সময়কার হেডমাস্টার। মায়ের নাম রাবেয়া খাতুন।
কাজী রকিবের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে চার জনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু হাফিজ, সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাবেদ আলী এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ মো. শাহনেওয়াজ।
বিসিএসের ’৭৩ ব্যাচের কর্মকর্তা আবু হাফিজের জন্ম ১৯৪৯ সালের ৩০ জুন কুড়িগ্রামে। রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ’৭০ সালে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় থেকে øাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি।
২০০৭ সালে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক থাকাকালে অবসরে যান হাফিজ। তিনি ১৯৯৫-৯৬ সালে নির্বাচন কমিশনের ভোটার আইডি প্রকল্পর উপ পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
হাফিজের সঙ্গেই সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়া আবদুল মোবারকের জন্ম ১৯৪৭ সালের ১ জুন চট্টগ্রামে, পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে। বাংলাদেশ ফুড এলাইড কর্পোরেশনে সিনিয়র কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৫ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসর নেন মোবারক।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরকৌশলে ডিগ্রিধারী জাভেদ আলী সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৭৬ সালে। ২০০৫ সালে অবসর নেন তিনি। তিনি দুই বছর দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি নওগাঁয় জš§ নেওয়া জাভেদ লেখালেখিও করেন।
মোহাম্মাদ শাহনেওয়াজ জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে সর্বশেষ টাঙ্গাইলে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে অবসর নেন তিনি। ১৯৫০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরে তার জš§। আইন পেশায় যুক্ত হন ১৯৮০ সালে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/এমআই/০০১০ ঘ.
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ঢাকা, ফেব্র“য়ারি ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ ছিলেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৭১ সালে ২ নম্বর সেক্টরে খালেদ মোশাররফের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সাবেক এই সিএসপি কর্মকর্তাকে বুধবার রাষ্ট্রপতি সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেন।
১৯৪৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া কাজী রকিব ২০০৩ সালে শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে যান। তিনি বিসিএসের ১৯৭৩ ব্যাচের কর্মকর্তা।
যশোরে নানা বাড়িতে জন্ম নেওয়া রাকিব পড়াশোনা করেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রসায়ন বিভাগে ডিগ্রি নিয়ে ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগও দিয়েছিলেন তিনি।
তবে এরপর সিএসপি (সিভিল সার্ভিস অফ পাকিস্তান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিকে পেশা হিসেবে বেছে নেন কাজী রকিব।
১৯৭১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসডিও থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন তিনি। কাজী রকিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ৪ ও ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার পর ১৯৭১ সালের মে মাসে তিনি ভারতে যান। এরপর মুজিবনগর সরকারের আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন।
এক সময় কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ছিলেন কাজী রকিব। পর্যায়ক্রমে যুগ্ম সচিব হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যোগ দেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে রিচার্স ফেলো (সেন্টার ফর পপুলেশন স্টাডিজ) ছিলেন ১৯৭৫-৭৬ সালে এবং বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেন ’৭৮ সালে।
এরপর দেশে ফিরে পুনরায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যোগ দেন। বিসিআইসি, টিসিবির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, তথ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালনের পর সর্বশেষ সংসদ সচিবালয়ের সচিব হিসেবে ২০০৩ অবসর নেন কাজী রকিব।
কাজী রকিবের আদি বাড়ি ছিল ভারতের নদীয়ায়। বর্তমানে পৈত্রিক বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। তার বাবা কাজী রায়হান উদ্দিন আহমদ ছিলেন ব্রিটিশ সময়কার হেডমাস্টার। মায়ের নাম রাবেয়া খাতুন।
কাজী রকিবের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে চার জনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু হাফিজ, সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাবেদ আলী এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ মো. শাহনেওয়াজ।
বিসিএসের ’৭৩ ব্যাচের কর্মকর্তা আবু হাফিজের জন্ম ১৯৪৯ সালের ৩০ জুন কুড়িগ্রামে। রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ’৭০ সালে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় থেকে øাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি।
২০০৭ সালে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক থাকাকালে অবসরে যান হাফিজ। তিনি ১৯৯৫-৯৬ সালে নির্বাচন কমিশনের ভোটার আইডি প্রকল্পর উপ পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
হাফিজের সঙ্গেই সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়া আবদুল মোবারকের জন্ম ১৯৪৭ সালের ১ জুন চট্টগ্রামে, পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে। বাংলাদেশ ফুড এলাইড কর্পোরেশনে সিনিয়র কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৫ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসর নেন মোবারক।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরকৌশলে ডিগ্রিধারী জাভেদ আলী সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৭৬ সালে। ২০০৫ সালে অবসর নেন তিনি। তিনি দুই বছর দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি নওগাঁয় জš§ নেওয়া জাভেদ লেখালেখিও করেন।
মোহাম্মাদ শাহনেওয়াজ জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে সর্বশেষ টাঙ্গাইলে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে অবসর নেন তিনি। ১৯৫০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরে তার জš§। আইন পেশায় যুক্ত হন ১৯৮০ সালে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/এমআই/০০১০ ঘ.
আরও পড়ুন
-
সঙ্কট আসতে পারে, প্রস্তুত থাকতে হবে: কাদের
-
চিকিৎসার জন্য আবার ব্যাংকক গেলেন রওশন
-
হাজারটা পদ্মাসেতু করেও লাভ ‘হবে না’: ফখরুল
-
বিএনপির ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিলেন ১১ জেলার নেতারা
-
তারা ছিল ‘খাওয়া পার্টি’, দিয়ে যাচ্ছে শুধু আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা
-
কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন মির্জা ফখরুল
-
বানভাসিদের জন্য সরকারি ত্রাণ ‘পর্যাপ্ত নয়’: বিএনপির টুকু
-
‘বম পার্টি’ নিয়ে মুখ খুলল জেএসএস
সাম্প্রতিক খবর
মতামত
সর্বাধিক পঠিত
- নিজের গায়ে আগুন দেওয়া গাজী আনিসকে বাঁচানো গেল না
- ফেইসবুকে ধর্ম নিয়ে মন্তব্য: স্কুল শিক্ষকের ৮ বছরের কারাদণ্ড
- কোথায় কখন লোড শেডিং, সময় বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
- বেয়ারস্টো-রুটের ব্যাটে রেকর্ড গড়ার পথে ইংল্যান্ড
- দিনে বিদ্যুৎ যাচ্ছে কয়েকবার
- রুট-বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ভারতকে হারাল ইংল্যান্ড
- গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা: হেনোলাক্স গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
- লুহানস্কের পতনের পর এখন কোন পথে এগুবে রাশিয়া?
- সঙ্কট আসতে পারে, প্রস্তুত থাকতে হবে: কাদের
- বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছেই, এবার ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার