নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে কামাল হোসেনকে অংশ না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে গণফোরামের একাংশ।
Published : 01 Jan 2022, 12:46 PM
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যে সংবাদ সম্মেলনে এই অনুরোধ জানানো হয়, তাতে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঙ্গে ছিলেন আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, মহসিন রশিদ।
নতুন ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন। তবে বিএনপিসহ কয়েকটি দল তা বর্জন করছে।
ইসিতে নিবন্ধিত দল হিসেবে গণফোরামও সেই সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে। রোববার তাদের বঙ্গভবনে যেতে চিঠি দেওয়া হয়েছে কামালকে। দলটিতে ভাঙনের ফলে মন্টুর নেতৃত্বাধীন অংশের নিবন্ধন নেই।
মন্টু বলেন, “ড. কামাল হোসেনের সাথে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। আমরা তাকে এই সংলাপে না যেতে অনুরোধ করেছি।
“আমরা তার বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছি। সেই চিঠিতে গণফোরামের ঐতিহ্য এবং সুনাম অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে ড. কামাল হোসেনকে এবং গণফোরামের পক্ষে এই সংলাপে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানিয়েছি।”
চিঠিতে কামাল হোসেনকে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সম্বোধন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে চিঠিটি পড়ে শোনান গণফোরামের এই অংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী।
চিঠিতে বলা হয়, “এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, রাষ্ট্রপতির এই সংলাপ কার্য্ত একটি নাটকীয় আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। চলমান সংলাপ দেশবাসীর কাছে পূর্বের মতোই চাতুর্য্পূর্ণ সংলাপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কাজেই উক্ত সংলাপে গণফোরামের নামে অংশগ্রহন করা অপ্রত্যাশিত এবং বর্তমান সরকারের অপশাসন ও জনগনের ভোটাধিকার হরণের রাজচালাকীর সহযোগী হিসাবে গণ্য করা হবে।”
গণফোরামের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত দল বিএনপি এই সংলাপকে ‘অর্থহীন’ উল্লেখ করে তাতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
গণফোরামের একাংশের নির্বাহী পরিষদের সভায় সংলাপে না যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে বিষয়টিও চিঠিতে কামাল হোসেনকে জানানো হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে মন্টুকে সভাপতি ও সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে গণফোরামের এই অংশ নতুন কমিটি গঠন করে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয় মূল দলের সভাপতি কামাল হোসেনকে।
সংবাদ সম্মেলনে সুব্রত চৌধুরী বলেন, “২০১৪ ও ২০১৮ সংলাপে তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে গণফোরাম দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বর্তমান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে চলমান সংলাপ একটি তামাশা মাত্র। যার মাধ্যমে কোনো কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব নয়।
“গণফোরাম মনে করে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের জন্য শুধু শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করলেই চলবে না, এর জন্য অপরিহার্য্ হলো জাতীয় ঐ্ক্যমতের সরকার। সেই সরকারের অধিনেই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাধিকারসহ জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।”
গত ৩ ডিসেম্বর জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে মন্টুকে সভাপতি ও সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে গণফোরামের এই অংশ নতুন কমিটি গঠন করে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয় মূল দলের সভাপতি কামাল হোসেনকে।