বিএনপি সংলাপে না এলেও নির্বাচন কমিশন গঠন থেমে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Published : 29 Dec 2021, 04:17 PM
ওবায়দুল কাদের বলেন, “নেতিবাচক রাজনীতি থেকে সরে এসে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি এগিয়ে আসবে বলে আশা করছি। কেউ সংলাপে আসুক বা না আসুক, নির্বাচন কমিশন গঠন থেমে থাকবে না।”
এর আগে ২০১৪ সালে বিএনপি বর্জন সত্ত্বেও জাতীয় নির্বাচন করেছিল আওয়ামী লীগ। তখনও ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলেছিলেন, বিএনপির জন্য নির্বাচন অপেক্ষা করবে না।
রাষ্ট্রপতির সংলাপ ‘অর্থহীন’- বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এর আগেও নির্বাচন কমিশন গঠনে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে, এবারও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। গতবারও বিএনপির তালিকা থেকে একজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”
বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
দেশে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপিকেই দায়ী করে তিনি বলেন, “বিএনপির বহুদলীয় তামাশা আর ভোটারবিহীন নির্বাচনই দেশকে গণতন্ত্র থেকে ছিটকে দিয়েছিল। সোয়া এক কোটি ভূয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিল।
“আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক এবং লুটপাটের রাজনীতির জনক বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের বুলি ছাড়লেও অন্তরে সাম্প্রদায়িকতা আর সুবিধাবাদ লালন করে। বিএনপিই এদেশকে ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী ও সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।”
বিপরীতে শেখ হাসিনা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে বিশ্ব-দরবারে সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বন্দি বেগম জিয়া অধিকতর শক্তিশালী- এ দর্শন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা মুক্তির চেষ্টাও করেনি। আইনগত লড়াইও তেমনটা করেনি, তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপরাজনীতির দাবার গুটি হয়েছেন বেগম জিয়া।
“বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও অতিরাজনীতি করছে। তারা চিকিৎসার চেয়ে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলকেই অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে, বরং শেখ হাসিনাই বেগম জিয়ার প্রতি উদারতা এবং মানবিকতার নজির স্থাপন করেছেন। অথচ সেই কৃতজ্ঞতাবোধও বিএনপিতে নেই।”