বিদিশা সিদ্দিকের ‘জাতীয় পার্টি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া’ শুরুতেই হোঁচট খেল ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে।
Published : 10 Nov 2021, 12:47 PM
পার্টির এই অংশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদের পদত্যাগের বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে জাতীয় পার্টির প্যাডে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
মামুনুর রশীদ তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, “ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে জাতীয় পার্টি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া থেকে সজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম।”
এ বিষেয়ে কথা বলার জন্য এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও প্রতিবারই তিনি কেটে দেন। এসএমএস পাঠিয়েও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
মামুনুর রশীদের পদত্যাগের বিষয়ে বিদিশাও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি।
জাতীয় পার্টির ‘পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায়’ দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র জাফর ইকবাল সিদ্দিকী বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তার (মামুনুর রশীদ) পদত্যাগের বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। তিনি নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।”
গত ৪ নভেম্বর ঢাকার বারিধারায় জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদের বাড়ি প্রেসিডেন্ট পার্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তার সাবেক স্ত্রী বিদিশাকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণা দেন জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, যিনি নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
গত ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে এরশাদ পুত্র শাহতা জারাব এরিক তার চাচা জিএম কাদেরকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টির ‘নতুন কমিটি’ ঘোষণা করেন; যদিও দলের কোনো ফোরামে তার কোনো পদ নেই।
এরিক তার সৎ মা রওশন এরশাদকে ‘নতুন কমিটি’র চেয়ারপার্সন ঘোষণা করেছিলেন। মা বিদিশার সঙ্গে রওশনের ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদকে (সাদ এরশাদ) করেছিলেন কো-চেয়ারম্যান। ‘ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব’ হিসেবে ঘোষণা করেন এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদের নাম।
এরপর বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বিদিশার জাতীয় পার্টিকেন্দ্রিক তৎপরতার শুরু হয়।
দুই বছর আগে এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির কাউন্সিলে চেয়ারম্যান হন জি এম কাদের। দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষকের আসনে বসানো হয় এরশাদের স্ত্রী রওশনকে। সংসদে রওশন হন বিরোধীদলীয় নেতা আর কাদের হন বিরোধীদলীয় উপনেতা।