‘গায়ের জোরে’ ক্ষমতায় থাকতে সরকার একুশের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
Published : 22 Feb 2021, 08:21 PM
তিনি বলেছেন, “আজকে আমাদেরকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের অধিকার নাই। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তো মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছিল আমাদের বীর বাঙালিরা।”
ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সোমবার বিএনপির এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় একথা বলেন খন্দকার মোশাররফ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “বিরোধী দলকে এই সরকার দাবিয়ে রাখার জন্য সব কিছু করছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখের উপরে মামলা, ৩৫ লক্ষের উপরে আসামি। গুম-খুন-বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার এই দলের নেতা-কর্মীরা।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আজকে যখন আমরা রাস্তায় কথা বলতে যাই, সামান্য প্রতিবাদ করতে যাই, আপনাদের সহ্য হয় না। এজন্য যে, আপনারা দুর্বল।
“বিএনপিকে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নাই। বিএনপি যদি দুর্বল হবে তাহলে ২৯ তারিখ রাত্রে আপনারা ভোট ডাকাতি করেছেন কেন? বিএনপি যদি দুর্বল হবে রাস্তায় আমাদের বক্তৃতা পুলিশ দিয়ে মাঝপথে থামালেন কেন?”
এই পরিস্থিতি বদলাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আজকে এদেশে ৫০ বছরের প্রাক্কালে আমরা বেদনার সাথে বলতে বাধ্য হই যে, একুশের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীনতার প্রত্যাশা আজকে ভূলুণ্ঠিত। গায়ের জোরে, স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “আমি বলতে চাই, সকলকে কাজে-কর্মে সক্রিয় হয়ে সামনে আসতে হবে। আপনারা যদি আসেন, আমরাও সামনে রেখে কিছু একটা করতে পারি। এই ফ্যাসিবাদী মাফিয়া সরকারকে আর বেশিদিন ক্ষমতায় রাখা যাবে না। তাহলে আমার আম-ছালা সবই যাবে। দেশও যাবে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও যাবে, আর ভাষাও যাবে।”
স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, “ভাষা আন্দোলন কারা করেছেন সেটা আমরা সবাই জানি। আজকে নতুন নতুন নাম শুনি, আমি তাদের নাম উল্লেখ করতে চাই না। শুধু এইটুকু বলব যে, জোর করে ইতিহাস লেখা যায় না।”
জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “এদেশের মানুষ ভালোবেসে তাকে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিল। সেই উপাধি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অর্থাৎ কী হচ্ছে? ইতিহাসকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান বক্তব্য রাখেন।