কেবল আইন কঠোর করলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে না বলে মনে করেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তার মতে, আইনের প্রয়োগটাই গুরুত্বপূর্ণ।
Published : 12 Oct 2020, 05:42 PM
মন্ত্রিসভা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে আইন সংশোধনে সায় দেওয়ার পর সোমবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য তার মতামত জানান।
গয়েশ্বর বলেন, “ধর্ষণের অপরাধের শাস্তি যদি মৃত্যুদণ্ড হয়, তাহলে কি কালকে থেকে এই অপকর্ম বন্ধ হয়ে যাবে? বন্ধ হবে না।”
“আইন কাগজের মধ্যে থাকলে চলবে না, আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে। প্রশাসনকে জনগণের পক্ষে আইনের দৃষ্টিতে জনগনকে সুরক্ষা দিতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে।”
দেশে এখন আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই বলে দাবি করেন তিনি। তার ভাষ্য, সে কারণেই অপরাধ বাড়ছে।
“ক্রিমিনাল কোডে লেখা আছে- কতটুকু অপরাধের জন্য কতটুকু শাস্তি। আইনের শাসন থাকলে কিন্তু আমরা সেই ক্রিমিনাল কোড প্রয়োগ করতে পারি। আইনের শাসন নাই বলেই প্রশাসনের জবাবদিহিতা নাই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নাই।”
“বিচার বিভাগ স্বাধীন সংবাদপত্রের মতো, কিন্তু বিচারকরা স্বাধীন না। এসকে সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় তাকে কিভাবে দেশ ছেড়ে যেতে হল!”
ধর্ষণ বন্ধে সব নাগরিককে সমস্বরে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানান গয়েশ্বর।
“চিৎকার দিয়ে বলতে পারেন- ‘স্টপ জেনোসাইড’। স্টপ জেনোসাইড মানে যে, আমার মা-বোন-শিশু যে যেখানে আছে, তাদেরকে আমি নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা দিতে চাই।”
তিনি বলেন, “আজকে গোটা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ধর্ষিত। একদিকে আাপনি দেখছেন, নারী শিশুদের নির্যাতনের মহোৎসব, অন্যদিকে দেখছেন লুটপাটের মহোৎসব। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
ধর্ষণ-নারী নির্যাতন বন্ধের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাসাসের ঢাকা মহানগর শাখার আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গয়েশ্বর।
মীর সানাউল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাসাসের সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদ, জাসাস নেতা আহসান উল্লাহ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, লিয়াকত আলী, শরীফ মাহমুদুল হক, আরিফুর রহমান মোল্লা, জাকির হোসেন রোকন বক্তব্য রাখেন।