রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ এনামুল হকের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এক নারী ফেইসবুকে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন এই আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে, যা নিয়ে চলছে আলোচনা।
Published : 02 Jun 2020, 10:17 PM
লিজা আয়েশা নামের ওই নারী ফেইসবুকে বলেছেন, সাংসদ তাকে বিয়ে করলেও প্রকাশ্যে কখনও স্ত্রী হিসেবে ‘স্বীকৃতি দেননি’। ২০১৫ সালে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলেও ‘সাংসদের কথায়’ ভ্রূণ নষ্ট করা হয়। এখন ‘সুবিচারের’ আশায় তিনি সব প্রকাশ করছেন।
গত তিন মেয়াদ ধরে বাগমারার এমপি পদে থাকা এনামুল হক দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ওই নারীকে তিনি ‘তালাক দিয়েছেন’। এখন তার ‘সম্মানহানির’ চেষ্টা হচ্ছে।
লিজা আয়েশা নামের ওই নারী ফেইসবুকে এ বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেন মে মাসের শেষ সপ্তাহে। প্রথমে সাংসদ এনামুল হকের সঙ্গে বেশ কিছু ছবি তিনি সেখানে দেন এবং বিভিন্ন সময়ে দেওয়া পোস্টে তাদের বিয়ে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে লিখতে থাকেন।
লিজা আয়েশা লিখেছেন, সাংসদের সঙ্গে ২০১২ সালে পরিচয়ের পর প্রেম এবং পরের বছর ‘পারিবারিকভাবেই বিয়ে’ হয়।
“কিন্তু বিয়ের সময় উনি বলেছিলেন, এখন আমাদের বিয়েটা রেজিস্ট্রি করা যাবে না কারণ তার নমিনেশন পাইতে সমস্যা হতে পারে। আমার বিয়ের ভিডিও এবং ছবি আমার কাছে আছে কিন্তু রেজিস্ট্রি তখন করা হয়েছিল না, আমি উনার কথা বিশ্বাস করে উনার কথা মেনে নিয়ে এত বছর সংসার করেছি।
“বিয়ের দুই বছর পর ২০১৫ সালে আমি বেবি কনসিভ করি, উনি আমাকে বলেন নির্বাচনের আগে উনি বাচ্চা নিতে পারবেন না। নির্বাচনের পর নেবেন, আমি সেইটাও মেনে নিয়ে এমপি সাহেবের ভালো হবে এই চিন্তা করে বাচ্চা নষ্ট করি।”
লিজা আয়েশা বলছেন, সাংসদ রাজি হলে ২০৮ সালের ১১ মে আবার তাদের বিয়ে হয় এবং তখন রেজিস্ট্রিও করা হয়।
“আমার জীবনের আট বছর ২০১২ থেকে ২০২০ আমি এমপি সাহেবের সাথে কাটিয়েছি, তার সাথে সংসার করেছি। এমপি সাহেব আমাকে বলেছিলেন নির্বাচনের পর উনি আমাকে স্বীকৃতি দেবেন, বাচ্চা দেবেন। আমি সেই অপেক্ষায় এতোগুলো বছর নীরব ছিলাম। এখন আমি সুবিচারের আশায় নিজেকে জনগণের সামনে প্রকাশ করেছি।”
সোমবার আরেক পোস্টে লিজা অভিযোগ করেন, ‘সংসদ সদস্যের ভক্তরা’ তাকে ‘মেরে ফেলার হুমকি’ দিচ্ছেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে’ জেলে দেওয়ার কথা বলছেন।
এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, সাংসদের পাঠানো কোনো তালাকনামা তিনি পাননি। আবার আরেক জায়গায় ‘স্বাক্ষর জাল করে’ ভুয়া তালাকনামা বানানোর অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাংসদ এনামুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন করে আমার বলার কিছুই নেই। তিনি কিছু বলতে চাইলে আদালতে বলতে পারেন। সোশাল মিডিয়া, পত্রিকায় এসব বলে বেড়ানোর দরকার কী? আমার মান-সম্মানের হানি বা অন্য কোনো কারণে এসব করা হচ্ছে।”