গণতন্ত্রের আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে ‘মাদকাসক্ত’ বলায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর কুশপুতুল পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ গণ ঐক্য।
Published : 12 Nov 2019, 11:52 AM
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে রাঙ্গাঁ ‘বেসামাল’ বলে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, “নব্বইয়ের গণঅন্দোলনে নূর হোসেনকে মাদকাসক্ত বলায় মনে হচ্ছে মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ ‘বেসামাল’ কথাবার্তা বলছেন।”
তিনি দ্রুত তাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
রাঙ্গাঁর বিতর্কিত বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার নূর হোসেনের পরিবারও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়। নূর হোসেনের মা মরিয়ম বিবি বলেছেন, রাঙ্গাঁকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে।
একই দাবি তুলেছে ডাকসুর বর্তমান নেতৃত্বসহ রাঙ্গাঁর দল জাতীয় পার্টির নির্বাচনী জোটের সঙ্গী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাও, যারা নব্বইয়ের গণআন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ২০১৪-১৮ সালের সরকারের প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে তার জেলা রংপুরেও।
এইচ এম এরশাদের গড়া দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব রাঙ্গাঁ রোববার দলের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাদকাসক্ত নূর হোসেনকে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।”
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদকে হটাতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামসহ দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল সম্মিলিতভাবে ১৯৮৭ সালে ঢাকা অবরোধের কর্মসূচি দিয়েছিল; সেদিন পুলিশের গুলিতে নিহত হন পরিবহন শ্রমিক নূর হোসেন।
বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক-গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে সেদিন মিছিলে নেমেছিলেন আওয়ামী লীগকর্মী নূর হোসেন; সেদিন তার আত্মদান এরশাদবিরোধী আন্দোলনে দিয়েছিল নতুন মাত্রা।
১৯৮৭ সালে আন্দোলন নতুন মাত্রা পাওয়ার পর তিন বছরের মাথায় গণঅভ্যুত্থানে ১৯৯০ সালে ক্ষমতা ছাড়তে হয় এরশাদকে।