এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য আসন রংপুর-৩ এর উপনির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে গৃহদাহের আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। তার পর কয়েকদিনে এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জি এম কাদেরের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য।
এরশাদ বেঁচে থাকার সময় এই দুজনের দ্বন্দ্ব সামলেছিলেন; কিন্তু তার অবর্তমানে দুজন মুখোমুখি দাঁড়ানোয় নেতারাও ভাগ হয়ে পড়েছেন।
এরশাদের মৃত্যুর পর কো-চেয়ারম্যান কাদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, যদিও তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রওশন সমর্থকরা।
কিন্তু গত মঙ্গলবার জি এম কাদের তাকে বিরোধীদলীয় নেতা করতে স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার পর দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। পরদিন স্পিকারকে পাল্টা চিঠিতে ওই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন।
এরপর বৃহস্পতিবার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান রওশনের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন জি এম কাদের।
রংপুর-৩ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ঠিক করতে নতুন পার্লামেন্টারি বোর্ড গঠনের ঘোষণাও রওশন সমর্থকরা দিয়েছেন; যদিও জি এম কাদেরের নেতৃত্বে একটি পার্লামেন্টারি বোর্ড আগে থেকেই গঠিত ছিল এবং তারাও আবার শুক্রবার থেকে মনোনয়ন প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সিদ্ধান্তেও অটল আছেন।
এর মধ্যে এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে নিজের নাম উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছেন জিএম কাদের।
এই দ্বন্দ্বের মধ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর অবস্থান নিয়ে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
জি এম কাদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর মহাসচিব রাঙ্গাঁকে তার সঙ্গে দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কোনোটিতেই দেখা যায়নি তাকে।
জাপায় যত ভাঙন বিভিন্ন দলছুট নেতাদের নিয়ে ১৯৮৬ সালে গঠিত এরশাদের দলে ভাঙন দেখা দিয়েছে কয়েকবার। ১৯৯৬ সালে প্রথম ভাঙনে তৎকালীন মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। এর পরের মহাসচিব নাজিউর রহমান মঞ্জুরও আলাদা হয়ে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি গঠন করেন। আরেক মহাসচিব কাজী জাফর আহমেদের হাত দিয়েও আলাদা দল হয়েছে। |
তবে আগের সব ভাঙনের সময় এরশাদ নিজেই সামাল দিয়েছিলেন তার দল। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে এবারের পরিস্থিতিতে কর্মীদের চোখে দেখা গেছে উদ্বেগের ছাপ।
বৃহস্পতিবার রওশন তার গুলশানের বাড়িতে এবং জি এম কাদের বনানীতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে যখন সংবাদ সম্মেলন করছিলেন, তখন বাইরে থাকা নেতা-কর্মীদের মুখে স্লোগান উঠেছিল- ‘দলকে ভাঙতে দেব না, দেব না’।
এই দ্বন্দ্ব যে নেতা-কর্মীদের কাছে ভাঙনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা রওশনের কথায়ও স্পষ্ট।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই তিনি বলেন, “পার্টি এখন উদ্বিগ্ন আছে। পার্টিতে কী হচ্ছে? জাপা অতীতেও ভাগ হয়েছে, এবারও কি সেটি হচ্ছে নাকি?
“হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এত কষ্ট করে পার্টি গড়ে তুলেছেন, এখন সেই পার্টিটা ভালোভাবে চলুক, মান-অভিমান ভুলে যারা চলে গেছে, তারা ফিরে আসুক। আমি চাই পার্টির সবাই মিলেমিশে জনগণের সেবা করব।”
তবে অনেকটা মাটিতে মুখে গোঁজার মতো করেই জি এম কাদের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “কোনো ভাঙনের মুখে নেই জাতীয় পার্টি।”
ভাবির পাশে থাকা নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেও কাদের বলেছেন, রওশনকে ‘মায়ের মতো’ সম্মান করেন তিনি এবং সেই সম্মান রওশন রাখবেন বলেই তিনি আশা করছেন।
নিজের পক্ষে পাল্লা ভারী থাকার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “যে কোনো লোক যে কোনো জায়গায় বলে দিল, তিনি রাজা। রাজার তো রাজত্ব থাকতে হবে, প্রজা থাকতে হবে।”
অন্যরা দুই ভাগ, ধোঁয়াশা রাঙ্গাঁকে নিয়ে
মহাসচিব রাঙ্গাঁ তিন দিন আগেও জি এম কাদেরের পাশে থেকে বলেছিলেন, রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বে তৃতীয় পক্ষের চক্রান্তের আভাস পাচ্ছেন তিনি।
কিন্তু রওশন সমর্থকরা দাবি করছেন, বৃহস্পতিবার জি এম কাদেরবিরোধী সংবাদ সম্মেলনে রাঙ্গাঁও থাকবেন বলে কথা দিয়েছিলেন।
তবে রাঙ্গাঁকে দেখা যায়নি রওশনের বাড়িতে; দেখা যায়নি জি এম কাদেরের পাশেও। তবে এদিন তাকে দেখা গেছে বিআরটিএর একটি সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পাশে।
রওশনের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে থাকা সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এস এম ফয়সল চিশতি দাবি করেছেন, তাকে ফোন করে রাঙ্গাঁ বলেছেন, তিনি তাদের পক্ষেই রয়েছেন।
রওশনকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদও বলেন, রাঙ্গাঁই থাকছেন মহাসচিব।
রাঙ্গাঁর ওই পক্ষে শুনে জি এম কাদেরও অবাক হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি তো জানি তিনি বিআরটিএ’র মিটিংয়ে। তিনি কী বলেছেন, আমি শুনিনি। আগে জানতে হবে।”
অস্পষ্ট এই অবস্থান নিয়ে রাঙ্গাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি ফোনও ধরছেন না।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এরশাদ একাধিকবার বহিষ্কার করেছিলেন রাঙ্গাঁকে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে তৎকালীন মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠলে তাকে সরিয়ে রাঙ্গাকে ওই পদে বসান এরশাদ।
এদিকে রওশনের সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টি নেতাদের মধ্যে ছিলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ , মুজিবুল হক চুন্নু, সেলিম ওসমান, গোলাম কিবরিয়া টিপু, লিয়াকত হোসেন, এস এম ফয়সল চিশতী, ফখরুল ইমাম, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, খালেদ আখতার, নূরুল ইসলাম, মীর আবদুস সবুর আসুদকে।
অন্যদিকে জিএম কাদেরের সঙ্গে ছিলেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সালমা ইসলাম, এস এম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাফা, রানা মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
দুই সংবাদ সম্মেলনে দুই পক্ষই দলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছেন।
জি এম কাদেরকে ইঙ্গিত করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তিনি দলে বিভক্তি সৃষ্টির জন্য কাজ করছেন।”
জি এম কাদেরের একবার ‘তৃণমূল জাপা’ নামে নতুন দল গঠনের কথা বলেন তিনি; সংসদ নির্বাচনের পর সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ থেকে তাকে যে এরশাদ সরিয়ে দিয়েছিলেন, সেটাও তুলে ধরেন আনিসুল।
জি এম কাদেরকে সরিয়ে রওশনকে এরশাদ বিরোধীদলীয় উপনেতা করলেও পরে ভাইকেই দলে নিজের উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা দেন এরশাদ। ওই ঘোষণার বলেই জি এম কাদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “দলের গঠনতন্ত্রের ২০ এর উপধারা ২- এর খ’তে বলা হয়েছে, দলের চেয়ারম্যান যদি দীর্ঘ দিন অসুস্থ বা অনুপস্থিত থাকেন, তবে সে সময়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন সিনিয়র কো চেয়ারম্যান বা কো চেয়ারম্যান। তবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন, প্রেসিডিয়ামের মতামতের ভিত্তিতে।”
কাদেরকে ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’ উল্লেখ করে আনিসুল বলেন, “দলের চেয়ারম্যান হতে গেলে পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসতে হবে। কিন্তু সেই পার্লামেন্টারি কমিটিতে জ্যেষ্ঠ সদস্যদের মতামতও নেওয়া হয়নি। জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে রওশন ম্যাডাম ১ নম্বর।”
জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে কাউন্সিল করে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে দলের চেয়ারম্যান মনোনয়নের কথা থাকলেও দলটিতে কখনও তা হয়নি। পতিত সামরিক শাসক এরশাদ সব সিদ্ধান্ত নিজেই নিতেন।
চেয়ারম্যান বা সংসদে প্রধান বিরোধী দলের নেতা হতে গিয়ে দলের গঠনতন্ত্রের দিতে তাকায়নি কোনো পক্ষই।
রওশনকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে তার সপক্ষে আনিসুল বলেন, “প্রেসিডিয়ামের অধিকাংশ সদস্যদের মতামত নেওয়া হয়েছে। এর আগে কোনো মিটিং ছাড়াই সিনিয়র কো চেয়ারম্যান, কো চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পদে সিলেকশনও কোনো মিটিং ছাড়াই হয়েছে।”
আনিসুল বলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে দলের কাউন্সিল করে তারা রওশন এরশাদের চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়টি আরও পাকাপোক্ত করবেন।
নিজের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়া এবং সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা মনোনীত হওয়ার ক্ষেত্রেও আগে অনুসৃত পদক্ষেপের কথা বলছেন জি এম কাদেরও।
তিনি বলেন, “দলের ২৫ জন সংসদ সদস্যদের মধ্যে ১৫ জন সংসদ সদস্য আমার পক্ষে রয়েছেন। তারা সবাই আমার পক্ষে মত দিয়েছেন। আলাদা করে পার্লামেন্টারি কমিটির মিটিং করে সিদ্ধান্ত দিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। এর আগে পার্টিতে যেসব পরিবর্তন এসেছে, পার্লামেন্টারি কমিটির কোনো মিটিং করে করা হয়নি।”
কাদের বলেন, “২৫ জন এমপি এখন আমাদের পার্লামেন্টে আছেন। এখন ১৩ জন যদি কারও পক্ষে থাকে; তাহলে সেটাকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ বলা যায়। এই ১৫ জন বলেছেন যখন, গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে আমরা বিরোধীদলীয় নেতা দেখতে চাই,তখন আমি এই পত্রটি স্পিকারের নিকট পাঠিয়েছি।
জি এম কাদেরও দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠানে গুরুত্বারোপ করে বলেন, “সময় এসেছে। আসলেই এই কাউন্সিল করে ফেলতে হবে।”
গত ২০১৬ সালে জাতীয় পার্টির সবশেষ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হয়েছিল। সেই কাউন্সিলের মেয়াদ এ বছরের মে মাসে ফুরিয়েছে।
রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা ‘এখতিয়ার বহির্ভূত’ মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের এই ঘটনা তদন্ত করে ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ
সংসদের চতুর্থ অধিবেশন শুরুর দিন রোববারই রওশন জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ম্যাডাম (রওশন) বৈঠক ডাকতে যাচ্ছেন। ওই বৈঠকেই বিরোধীদলীয় নেতা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হবে।”
রওশনকে আহ্বায়ক, মহাসচিব রাঙ্গাঁকে সদস্য সচিব করে পার্লামেন্টারি বোর্ডও গঠনের ঘোষণা দিয়েছে তারা; যে বোর্ড রংপুর-৩ আসনে দলের প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।
বোর্ডে জি এম কাদেরকেও সদস্য রেখেছেন রওশন সমর্থকরা। অন্য সদস্যরা হলেন- আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, রুহুল আমিন হাওলাদার, মুজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশীদ, দেলোয়ার হোসেন খান, গোলাম কিবরিয়া টিপু, ফখরুল ইমাম, সুনীল শুভরায়, আতিকুর রহমান আতিক, মজিবুর রহমান সেন্টু।
তবে সুনীল শুভ রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা ভুয়া কমিটি। আমাকে না জানিয়ে এটা দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান স্যারও (কাদের) অবাক।”
ফখরুল ইমাম বলেন, “কমিটি আজকে গঠিত হয়েছে। সবাইকে হয়ত জানানো হয়নি। তবে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
এদিকে জি এম কাদেরের নেতৃত্বে আগে গঠিত মনোনয়ন বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় রংপুর উপনির্বাচনের প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। শুক্রবার থেকে তাদের সাক্ষাৎকারও নেওয়ার কথা।
ওই কমিটির সদস্য আদেলুর রহমান আদেল বলেছেন, শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে জিএম কাদেরের নেতৃত্বেই মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেবেন তারা।
অন্যদিকে রওশনের কমিটির ফখরুল ইমাম বলেন, “নতুন কমিটি কবে এ সাক্ষাৎকার নেবে, তা পরে জানাব।”
সংসদ নির্বাচনের সময় অসুস্থ এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষমতা মহাসচিবকে দিলেও নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদের ইসিতে চিঠি পাঠিয়ে ওই ক্ষমতা নিজের কাছে নিয়েছেন।
রংপুর-৩ উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি’ হিসেবে ইসিতে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রংপুর নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিতে চেয়ারম্যান জি এম কাদের স্বাক্ষরিত চিঠি আমরা পেয়েছি। তিনিই জাপা প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন, চেয়ারম্যানই প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি।”
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি কাদের। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, “আমি আপাতত এ নিয়ে কোনো কথা বলব না।”
ভোটকে সামনে রেখে প্রার্থী মনোনয়ন কিংবা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দলের নেতৃত্ব বরাবরই নির্বাচন কমিশনে নালিশ আসে।
জি এম কাদের চিঠি দেওয়ায় রওশনের অংশ থেকেও আরেকটি চিঠি যেতে পারে ইসিতে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কাছে দলটির এখনও কেউ কোনো দাবি-আপত্তি করেনি। দলীয় গঠনতন্ত্র মেনেই দলগুলো কাজ করবে। কোনো আবেদন এলে কমিশন তা পর্যালোচনা করে করণীয় ঠিক করবে।”
আরও খবর