জীবন সংকটে থাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়ার প্রস্তাব নাকচ করেছেন সেদেশের চিকিৎসকরা।
Published : 04 Jul 2019, 08:24 PM
রক্তে হিমোগ্লোবিনের সমস্যার পাশাপাশি কিডনি ও ফুসফুস জটিলতায় আক্রান্ত ৯০ বছর বয়সী এরশাদকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে দেখে এসে হাসপাতালের সামনে স্ত্রী রওশন এরশাদ বলেন, এরশাদের শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত সব প্রতিবেদন সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
“ডাক্তাররা কী মতামত দেয় সেটার উপর নির্ভর করে আমরা দেখব, অন্য কিছু করা যায় কি না।”
সেই সম্ভাবনা নাকচ হয়েছে বলে বিকালে জানান এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
সন্ধ্যার পর দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বিকালে উনার (এরশাদ) কাগজপত্র স্ক্যান সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছিল। উনারা ‘না’ বলেছেন, ডিসকারেজ করেছেন। বলেছেন, এই অবস্থায় উনাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়াটা সুবিধাজনক হবে না।”
এখন সিএমএইচের চিকিৎসকদের ওপরই পুরোপুরি ভরসা করছেন জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, “সিএমএইচের ডাক্তাররা উনাকে খুবই নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা করছেন। উনি এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন, শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে, কিডনি স্থবির হয়ে আছে, অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক মতো কাজ করছে না।”
এই অবস্থায় দোয়া করা ছাড়া তাদের আর কিছু করার নেই জানিয়ে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, “দেশবাসীর কাছে আমার ভাই ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া চাচ্ছি। আগামীকাল জুমার নামাজের পর সবাই যেন দোয়া করেন, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও যেন দোয়া করেন।”
সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ দীর্ঘদিন রক্তের রোগ মাইলোডিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে ভুগছেন। এতে তার অস্থিমজ্জা পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন উৎপাদন করতে পারছে না।
গত ২২ জুন সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করার পর এরশাদের ফুসফুস ও কিডনিতে সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসায় তার অবস্থা উঠা-নামা করে। বুধবার দুপুরেই সংবাদ সম্মেলন করে এরশাদের অবস্থা ‘উন্নতির দিকে’ থাকার কথা জানিয়েছিলেন জিএম কাদের।
তবে বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থা আবার অবনতির দিকে যায় বলে জানান তিনি।
চিকিৎসকদের বরাতে এর কারণ ব্যাখ্যা করে জিএম কাদের বলেন, তার ভাইয়ের পরিপাকতন্ত্র কাজ করছে না।
“এটাই সমস্যাটা বাড়িয়েছে। বিকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পাশাপাশি আবার দুই ঘণ্টা ‘আন্ডার প্রেসার’ অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।”