ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
Published : 04 Jul 2019, 05:17 PM
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এরশাদের অবস্থার অবনতি হয়। বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেন চিকিৎসকরা।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালে এরশাদকে দেখে তার স্ত্রী রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত সব প্রতিবেদন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
“ডাক্তাররা কী মতামত দেয় সেটার উপর নির্ভর করে আমরা দেখব, অন্য কিছু করা যায় কি না। এখানকার ডাক্তাররা যত্ন সহকারে চিকিৎসা করতেছে, সর্বতোভাবে চেষ্টা করতেছে।”
৯০ বছর বয়সী সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ দীর্ঘদিন রক্তের রোগ মাইলোডিসপ্লাস্টিক সিনড্রোমে ভুগছেন। তার অস্থিমজ্জা পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন উৎপাদন করতে পারছে না।
গত ২২ জুন সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করার পর এরশাদের ফুসফুস ও কিডনিতে সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে।
স্বামীর জন্য নেতাকর্মী ও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, “এখন সব তোমরা ওনার জন্য দোয়া করবা… বিশেষ করে রংপুরবাসী আরও বেশি দোয়া চাইবা। সবাই মিলে দোয়া করবা। সব কিছু তো আল্লাহর হাতে, আল্লাহ ইচ্ছা করলে আবার পুনর্জীবিত করতে পারেন মানুষকে। এখন সবকিছু আল্লাহ্-র হাতে।”
পরে এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, “(এরশাদের) অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বার্ধক্যজনিতকারণে এটা হচ্ছে। ওনার সিস্টেমে আগেই সমস্যা ছিল। দোয়া করা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।”
এর আগে সকালে জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জি এম কাদের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এরশাদের শারীরিক অবস্থার লক্ষণ ‘শুভ নয়’। ফুসফুস ও কিডনির সংক্রমনের উন্নতি যতটা হওয়ার কথা ছিল, ততটা হয়নি।
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই এরশাদের। আর সিঙ্গাপুর নেওয়া হলেও এরশাদের উপকার হবে কি না তাতে ‘সন্দেহের অবকাশ’ রয়েছে।
এরশাদের সুস্থতা কামনা করে শুক্রবার দেশের সব মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করবে জাতীয় পার্টি।
দুপুরে ছেলে সাদ এরশাদকে নিয়ে সিএমএইচে যান রওশন এরশাদ। এ সময় তার সঙ্গে জি এম কাদের, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদও ছিলেন।