সংলাপ ব্যাহত না করেই সাত দফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Published : 05 Nov 2018, 09:40 PM
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার আগের দিন সোমবার রাতে ফ্রন্টের এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, “আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আগামীকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা থেকে আমরা ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে, সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়ে জোট গঠনের পর গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সংলাপে ডাকেন।
প্রথম দফা সংলাপে তারা দাবি পূরণের বিষয়ে সমাধান না পাওয়ার পর বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসছেন তারা।
সংলাপের পাশাপাশি তাদের আন্দোলনের পথে পা রাখার দিকে ইঙ্গিত করে সম্প্রতি শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “একদিকে আলোচনা করবে, আবার আরেকদিকে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া, এটা কী ধরনের সংলাপ? সেটা আমাদের কাছে বোধগম্য না।”
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের আগে কর্মসূচি ঘোষণার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ফখরুল বলেন, “যাতে প্রভাব না পড়ে, সেভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘সীমিত পরিসরে সংলাপের’ বিষয়বস্তু নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আবদুল কাদের সিদ্দিকীর দল কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হওয়ার কথাও জানান বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি, জেএসডি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে এই জোটে এখন যুক্ত হল কাদের সিদ্দিকীর দল।
বৈঠকে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং রংপুরের আদালত প্রাঙ্গণে মইনুল হোসেনের উপর হামলার নিন্দাও ঐক্যফ্রন্ট নেতারা করেন বলে জানান ফখরুল।
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের জাহেদ-উর রহমান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমেদ, আ ব ম মোস্তফা আমিন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের এক ফাঁকে বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি নুরুল আমিন ব্যাপারী ও মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন।