রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিস্থিতি তুলে ধরে বাম গণতান্ত্রিক জোট বলেছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন বহাল রেখে আাগমী সংসদ নির্বাচন ‘সুষ্ঠু হবে না’।
Published : 02 Aug 2018, 10:42 PM
বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জোটের কেন্দ্র্রীয় সমন্বয়ক সাইফুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমরা জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও নতুন কমিশন গঠন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং সরকারকে পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠনের আন্দোলন এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
“জনগণের ম্যান্ডেবিহীন জাতীয় সংসদ বহাল রেখে এবং বর্তমান দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, রিপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ নেই।”
সংবাদ সম্মেলনে সদ্য সমাপ্ত তিন সিটির নির্বাচনের পরিস্থিতি তুলে ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “যে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে পারে না, যারা সরকারের অভিপ্রায় বাস্তবায়ন করছে তাদের নেতৃত্বে যে সংসদ নির্বাচন করা সম্ভব নয় এটা সন্দোতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।”
সরকার ‘যেভাবে চেয়েছে’ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন তাই করতে ‘বাধ্য হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন এই বাম নেতা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “পরিস্থিতি দেখে দেশবাসীর মনে হওয়া স্বাভাবিক জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে সরকার ও সরকারি দল আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নীল নকশা তৈরি করছে। আর জনগরেণর এ ধারণা যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে তা হবে দেশের জন্য মহাবিপর্যয়কর।”
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বাসদ প্রার্থী মনীষা চক্রবর্ত্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “নির্বাচন কমিশন বলেছিল তারা খুলনা-গাজীপুরের মত নির্বাচন করবে না। তারা ঠিকই বলেছিল, তারা খুলনা-গাজীপুরের চেয়েও খারাপ নির্বাচন করেছে।”
সোমবার ওই নির্বাচনে রাজশাহী ও বরিশালে নৌকার প্রার্থীরা সহজ জয় পেলেও সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পিছিয়ে আছেন। দুটি কেন্দ্রে পুনঃভোটের পর ওই নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের ‘নানা অনিয়ম’ তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “এতসব ঘটনার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার গণমাধ্যমে তার সন্তুষ্ট হওয়ার কথা বলেছেন। যা দেখে দেশবাসী মনে করছে- নির্লজ্জ আর কাকে বলে!”
জোটের শরিক দলগুলোর মেয়র প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
অন্যদের মধ্যে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জমান, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রংশু চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।