সেই সঙ্গে খালেদার আইনজীবীদের আবেদনে তার জামিনের মেয়াদ ১০ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে আদালত।
ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী নুরুজ্জামান তপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার এ মামলায় আদালতে যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করে কাস্টডি স্লিপ পাঠায়। সেখানে বলা হয়, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না।
এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন বড়ানোর আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
মামলার অন্যতম আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না এর আগে বিচারকের অনুমতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনও বিচারক মঞ্জুর করেন। খালেদার মত মুন্নার জামিনও ১০ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ মুন্নার পক্ষে আংশিক যুক্তিতর্ক হয়। এরপর বিচারক কয়েকটি তারিখ রাখলেও কোনোদিনই খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়নি।
এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
আর জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে ওই কারাগার থেকে সিকি কিলোমিটার দূরত্বে বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠ সংলগ্ন বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে।
এ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামানই এতিমখানা দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়ার সাজার রায় দেন।
জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।
তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব বিআইডব্লিউটিএয়ের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানও এ মামলায় আসামি।
আসামিদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী পলাতক। মুন্না ও মনিরুল জামিনে আছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি যুক্তিতর্কের শুনানিতে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে দুদক।
অপরাধ প্রমাণিত হলে দুদক আইনে তাদের সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।