সরকারের বিরুদ্ধে জিয়া পরিবারের সঙ্গে বৈরী আচরণের অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেছেন, তারপরও শেখ হাসিনাকে ‘ক্ষমা করে দিয়েছেন’ তিনি, প্রতিহিংসামূলক কিছুই করবেন না।
Published : 09 Nov 2017, 10:15 PM
বৃহস্পতিবার জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্যের এক পর্যায়ে একথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রধান খালেদা।
এক দশকের বেশি সময় আগে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে জিয়া এতিমখানা ও দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা টাকা আত্মসাতের অভিযোগের দুই মামলায় বিচার চলছে খালেদা জিয়ার।
ট্রাস্টের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নাকচ করে আসা বিএনপি চেয়ারপারসন তার বিরুদ্ধে এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করে আসছেন।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পরও এজন্য সরকারকে দায়ী করেছিলেন বিএনপি নেতারা। মুদ্রাপাচার মামলায় কারাদণ্ডে দণ্ডিত কোকো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে অভিযোগ করেন তারা।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিরোধীদের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনগণের ভোটাধিকার হরণের অভিযোগ করে আসছে বিএনপি।
আগামীতে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে কয়েক মাস আগে এক সংবাদ সম্মেলনে রূপকল্প ২০৩০ তুলে ধরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। প্রতিহিংসা নয়, সমঝোতার ভিত্তিতে সামনে এগিয়ে যাওয়া আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
সেই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে খালেদা জিয়া এদিন আদালতে বলেন, “আমার এবং শহীদ জিয়াউর রহমানসহ আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ক্রমাগত অশোভন উক্তি এবং প্রতিহিংসামূলক বৈরী আচরণ সত্ত্বেও আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে ক্ষমা করে দিচ্ছি।
“আমি তার প্রতি কোনো প্রতিহিংসাপ্রবণ আচরণ করব না।”