নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিএনপির সংলাপ কতটা সফল হবে- সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Published : 18 Dec 2016, 02:45 PM
বিএনপি নেতাদের মনোভাব পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, “সালিশ মানি, তালগাছটা আমার এই যদি বিএনপির নীতি হয়, তাহলে আজকের সংলাপ সফল হবে না।”
রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় বঙ্গভবনে ওই সংলাপ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন কাদের।
তিনি বলেন, “বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। তারা আজকে রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছে সংলাপের জন্য। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিএনপি যদি গণভবনে যেত, তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস ভিন্ন হতে পারত।”
আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষে নতুন যে ইসি দায়িত্ব নেবে, তার অধীনেই ২০১৯ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। সেই ইসি গঠনের জন্যই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার এই উদ্যোগ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই, মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিএনপিকে ডেকেছেন নির্বাচনী সংলাপের জন্য।”
তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিএনপির সংলাপের ‘অভিজ্ঞতা’ সুখকর নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান যখন তাদের ডেকেছিলেন, তখন তারা গিয়েছিলেন, কিন্তু তখনও তাদের মনমত হয়নি।
“আজ বিএনপি যদি মনে করে, ‘সালিশ মানি, তালগাছটা আমার’ তাহলে সংলাপ সফল হবে না।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের ‘বাস্তবসম্মত মনোভাব’ নিয়ে আলোচনায় যেতে হবে।
“সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে মনে হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের অভিভাবক, তিনি অনেক উদার প্রকৃতির মানুষ। তিনি তার দায়িত্ব যথাযত ভাবে পালন করবেন।”
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, দলটি এখন কি চায়, তা তারা ‘নিজেরাও জানে না’।
“বিএনপি কি গণতন্ত্র চায়? তারা যখন বিরোধী দলে ছিলেন... জাতীয় সংসদ ১৬৯ দিন সক্রিয় থাকলেও বিএনপি এসেছিল ৪৫ দিন, আর বেগম জিয়া এসেছিলেন ৫ দিন।
এর আগে মঞ্চে এসে ওবায়দুল কাদের তার আগের বক্তাদের সমালোচনা করেন।
“আপনারা সবাই বক্তব্যে ‘টাইটেল’ দিতে দিতে সময় শেষ করে ফেলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যের কথা কারও মাথায় নেই।
“সবাই বলে মেধাবী সাবেক ছাত্রনেতা। আমার চেয়ে মেধাবী ছাত্রনেতা নেই! এইসব টাইটেল বন্ধ করুন। ৪৯ থেকে অথবা ৭৫ থেকে শুরু করা গতানুগতিক বক্তব্য দেওয়ার ‘ট্র্যাডিশন’ থেকে আমাদের বের হতে হবে। এই সকল গতানুগতিক ভাষণ বর্জন করতে হবে।”
বিজয়ের মাসে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাউছারের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও বক্তব্য দেন।