ভারতের পণ্য পরিবহনে সরকারের নির্ধারিত ট্রানজিট ফি বাংলাদেশের জন্য ‘অসম্মানজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
Published : 30 Jun 2016, 09:10 PM
তিনি বলেছেন, “আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, আমরা পাকিস্তানিদের হাত থেকে দেশটাকে উদ্ধার করেছি। আমরা অন্য কারও হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দেশটাকে স্বাধীন করি নাই।
“এই যে ট্রানজিটের জন্য যে ফি ধরা হয়েছে ১৯৫ টাকা। ২০০ টাকাও না। ছি ছি। এই টাকাটা না নেওয়াই উচিৎ। এটা নেওয়ার কোনো দাম নাই। এটা দয়া করা নয়। আজকে বাংলাদেশের মান-সম্মান বা নিজস্ব স্বকীয়তা, স্বাধীনতা নেই।”
রাজধানীর গুলশানের হোটেল সেরিনায় বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে একথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এখনও আমরা যারা দেখছি, তারা তো বসে থাকতে পারি না। দেশটাকে রক্ষার করার জন্য আমাদের সকলকে সাহস করে কথা বলতে হবে।”
খালেদা বলেন, “আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি না। এ নিয়ে কেউ কথা বলছে না, কেউ প্রতিবাদ করছে না। আমরা কারও দয়া চাচ্ছি না। আমরা আমাদের প্রাপ্য হিস্যা চাচ্ছি, যতটুকু প্রাপ্য সেটা চাচ্ছি।”
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শাসনে ‘গণতন্ত্রহীন’ অবস্থা চলছে দাবি করে পুলিশের সাম্প্রতিক সাঁড়াশি অভিযানের সমালোচনাও করেন তিনি।
“আসুন দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে, অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, আর এদের এই অত্যাচার সহ্য করা যায় না। মামলা-গুম-খুনের ভয় করে লাভ নেই, সকলের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে,” সবার উদ্দেশে বলেন তিনি।
বক্তব্যের পর মুক্তিযোদ্ধা অলি আহমদ, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, আইনউদ্দীন, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানকে নিয়ে এক টেবিলে বসে ইফতার করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন ও মোদাচ্ছের অনুষ্ঠানে ছিলেন।
ইফতারে এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, মশিউর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, শাহ আবু জাফর, আতাউর রহমান ঢালী, শায়রুল কবির খান, আজিজুল হক লেবু কাজীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।