ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘ফর্দ অনুযায়ী’ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ‘নিয়োগ না দেওয়ায়’ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
Published : 01 Jun 2016, 04:55 PM
উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের অভিযোগ, বুধবার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে সাংসদ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে মারধর করেন।
অবশ্য আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন; গত এপ্রিলে বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পরও তিনি আলোচনায় এসেছিলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলছেন, ৪ নম্বর বাহারছড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী তাজুল ইসলাম ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিজাইডিং অফিসার) নিয়োগের জন্য তাকে ‘একটি তালিকা’ দিয়েছিলেন।
“আমি ওই তালিকা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারিনি। সকালে এমপি আমাকে ইউএনও কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ না দেওয়ার কারণ জানতে চান। এক পর্যায়ে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন।”
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলছেন, সাংসদের সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন তখন তাকে মারধর করেন।
“তাদের মধ্যে ওলামা লীগ নেতা মাওলানা আক্তারকে আমি চিনতে পেরেছি।”
ওই ঘটনার সময় ইউএনও তার কার্যালয়ে ছিলেন না। তবে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাজুল ইসলাম সেখানে ছিলেন বলে জানান জাহিদ।
তাজুলকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা চেনেন সাংসদ মোস্তাফিজের এপিএস (রাজনৈতিক) হিসেবে। বাহারছড়া ইউনিয়নে তাজুল ছাড়াও বিএনপি মনোনীত একজন এবং আওয়ামী লীগের দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেখানে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যা বলা হচ্ছে ওসব মিথ্যা কথা।”
আর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাজুল দাবি করেন, নামের তালিকা দেওয়ার বিষয়টিরও কোনো ‘সত্যতা নেই’।
নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল জানান, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ঘটনাটি বাঁশখালী থানার ওসি আলমগীর হোসেন ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল বাতেনকে জানিয়েছেন।
বাতেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। কমিশনই ব্যবস্থা নেবে।”