শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতা আব্দুস সালাম এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, “দেশে এখন কোনো গণতন্ত্র নাই। আর গণতন্ত্র নাই বলেই সেলিম ওসমান একজন প্রধান শিক্ষককে নির্যাতন করেছেন। ধর্মের দোহাই দিয়ে শিক্ষকের প্রতি এই নির্যাতন কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।”
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার লতিফ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে একদল লোক মারধোর করে। পরে তাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করান স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
দেশজুড়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচার দাবির মধ্যে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে স্কুল কমিটি বাতিল করে শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্বপদে পুনর্বহাল করে সরকার।
আব্দুস সালাম বলেন, “সেলিম ওসমান এই ঘৃণ্য কাজ করে সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছেন। তাই জাতীয় সংসদে থাকার কোনো অধিকার তার নেই। সংসদের স্পিকার এর কাছে আমরা দাবি জানাই সেলিম ওসমানের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করুন।”
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক শুভ্রাংসু চক্রবর্তী বলেন, “নারায়ণগঞ্জের ওই শিক্ষক যদি সত্তিই ধর্মে কটাক্ষ করে থাকে তবে রাষ্ট্রের আইন আছে। আপনি (সেলিম ওসমান) নিজের স্কুল কমিটির স্বার্থ উদ্বারের জন্য এই নির্যাতন করেছেন।
“এর জন্য সেলিম ওসমানের শাস্তি হওয়া উচিত। এই সমাবেশ থেকে আমরা সেলিম ওসমানকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি।”
পাশাপাশি তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করার দাবি জানান তিনি।