যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরি করার এবং ভোটাধিকারও কেড়ে নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
Published : 04 Feb 2016, 01:20 PM
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক সমাবেশে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষকারীদের বিচারে শিগগিরই জাতীয় সংসদে আইন পাস করা হবে।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী ও স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের বিচারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশ ও মানববন্ধন করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি তোলার মধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক সমাবেশে মোজাম্মেল হক এজন্য আইন প্রণয়নের কথা বলেছিলেন।
প্রেস ক্লাবের সামনের সমাবেশে ওই আইন প্রণয়নের বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “আমি জাতির সামনে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের জমিজমাসহ সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাদের পরিবারে যারা আছে, তারা এদেশে কোন সরকারি চাকরি পাবে না।
“এসকল যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের সদস্যরা শুধুমাত্র এদেশে নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু তাদের কোনো ভোটাধিকার থাকবে না।”
যুদ্ধাপরাধীদের ভোটার হওয়ার পথ বন্ধে তিন বছর আগে সংসদে বিল পাস হয়।
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে মোজাম্মেল বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর ‘অঘোষিত আমির’ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করে বক্তব্য রেখেছেন। অথচ দশ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে ২০ বার স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে তার স্বাক্ষরিত বাণীতে বলেছেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে।
“আর এখন তাদের প্রভু পাকিস্তান যখন সে দেশের পার্লামেন্টে শহীদদের সংখ্যা অস্বীকার করেছে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করেছে, তখন থেকেই পাকিস্তানকে খুশি করার জন্য খালেদা, তার দলের নেতারা মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছেন।”
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষকারীদের বিচারে আইন পাস করা ছাড়াও পাকিস্তানি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে এদেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতারা।