শনিবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী মুক্ত দিবসের সমাবেশে তিনি বলেন, বাজেয়াপ্ত এসব সম্পদ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।
“বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের কোনো আইন নেই। এজন্য আইন প্রণয়ন করা হবে,” বলেন তিনি।
বাংলদেশের আর কোনো মুক্তিযোদ্ধা অবেহেলিত থাকবে না আশা করে তিনি বলেন, আগামী জুলাই থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্ত রকম চিকিৎসা বিনামূল্যে করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বছরে দুইটি উৎসব ভাতা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই বলে মনে করেন তিনি।
“জামায়াতে ইসলামী একত্তরের ভূমিকার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। বাংলার মাটি থেকে জামায়াতের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করব। অচিরেই এ ব্যাপারে আমরা কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব,” বলেন মন্ত্রী।
বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতি কাপুরুষোচিত আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, পাকবাহিনী একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে সাহস পেত না, তারা গ্রামে ঢুকে বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে লুটপাট করেছে। নারীদের নির্যাতন করেছে। নির্বিচারে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের হত্যা করেছে।
“তাদের দোসর বিএনপি-জামায়াত কাপুরুষের মতো চোরাগুপ্তা হামলা করে মানুষ হত্যা করেছে। তারা বিদেশিদের হত্যা করে এ দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল।”
এর আগে সকালে মন্ত্রী কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়ায় সম্মুখ সমরে শহীদদের স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে পবিএ ফাতেহা পাঠ ও শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সভাপতি ইসমত কাদীর গামা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মুজিবর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডি আই জি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, নুর মোহাম্মদ বাবুল ও গোপালগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর।
কাশিয়ানী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মো. মোক্তার হোসেন, এস এম মহসীন আলী, খান ওলিউর রহমান, শরীফ মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।