ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

সাত মাস আগে সম্মেলনের পর কেবল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

জাতীয় সম্মেলনের ৭ মাস ৭ দিন পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, বৃহস্পতিবার রাতে ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে ৭১ জনকে। এর আগে এই পদে ৬১ জন থাকলেও এবার কমিটির আকার অপরিবর্তিত রেখে এই পদ ১০টি বাড়ান হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ১১ জন এবং  সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন ১১ জন।

কমিটিতে ১ নম্বর সহ-সভাপতি করা হয়েছে রাকিবুল হাসান রাকিবকে, ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আব্দুল্লাহ হীল বারীকে এবং ১ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন আতিকা বিনতে হোসাইন।  

এছাড়াও পূর্ব-সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের আকার অপরিবর্তিত রেখেই নতুন করে আটটি সম্পাদকীয় পদ বাড়ানো হয়েছে।

ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সাদ্দাম-ইনান

ছাত্রলীগের সম্মেলন: শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে ৮ শতাধিক পদপ্রত্যাশী

কমিটি গঠনের বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী লীগ সভাপতি, ছাত্রলীগের অভিভাবক, সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি সাপেক্ষে ৩০১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে কমিটির আকার অপরিবর্তিত রেখে ১০জন সহ সভাপতি ও আটজন সম্পাদক পদ বাড়ানো হয়েছে।”

সাড়ে ৪ বছর পর গত ৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন হয়। ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই ঘোষণা করা হবে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তার দুই সপ্তাহের মাথায় গত ২০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়।

পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বের নামও জানানো হয়েছিল সেদিন।