“এটা নিশ্চিত করা শুধু রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়। যারা রাজনীতি করে সমাজনীতি করে সকলের দায়িত্ব।”
Published : 18 Aug 2024, 08:45 PM
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কোনো হিন্দু মন্দিরে হামলা হলে এর দায় রাজনীতিবিদদেরও নিতে হবে।
রোববার চট্টগ্রামের প্রবর্ত্তক ইসকন মন্দিরে এক মতবিনময় সভায় এ কথা বলেন সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু।
তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া আমাদেরকে স্পষ্টভাবে বলেছেন, বিএনপি সংখ্যালঘু বলে কোনো শব্দে বিশ্বাস করে না। কারণ বাংলাদেশের সংবিধান সবাইকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার দিয়েছে।”
বাংলাদেশের সীমান্তের মধ্যে যারা বসবাস করে তাদের সবাইকে সমানভাবে দেখতে হবে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা খসরু বলেন, “এটা নিশ্চিত করা শুধু রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়। যারা রাজনীতি করে সমাজনীতি করে সকলের দায়িত্ব। আমি এখান থেকে বলব চট্টগ্রামে যদি কোন হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ হয় এটার দায় আমাদেরকে নিতে হবে। এই দায় কিন্তু এড়ানো যাবে না।”
চট্টগ্রাম মহানগরীতে কোনো মন্দিরে হামলা বা আক্রমণ হয়নি দাবি করে খসরু বলেন, “আমি ঢাকা থেকে আমাদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি সব সময়। মন্দিরের বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিয়েছি। কমিটিও করা হয়েছে, তারা আমাকে ছবিও পাঠিয়েছে। আমি সেখান থেকে মনিটরিং করেছি।”
সমবেত ইসকন পুরোহিতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পরিচয়ের রাজনীতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে খারাপ একটা চিত্র তৈরি করা হয়েছে। সেটা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। আপনাদেরকে ব্যবহার করে রাজনীতির যে একটা চিত্র তুলে দেওয়া হয় সেটা তো ক্ষতিকর, লাভের কিছু হয় না।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান আমীর খসরু।
তিনি বলেন, “আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে যেভাবে গুলি করা হয়েছে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তারা যে এখনো বেঁচে আছে এটা আশ্চর্যের ব্যাপার। অনেকের অবস্থা এখনো জটিল, কঠিন সময় যাচ্ছে।
“এদের বাকি জীবন কীভাবে কাটবে এটাও একটা বিষয় আছে। তাদের অনেকে ভালো করে হাঁটাচলা করতে পারবে না। এরা বেঁচে থাকলেও স্বাভাবিক জীবনযাপন করার অবস্থা তাদের থাকবে না।”
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাঝামাছি সময়ে বিএনপির অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকেও। সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরপর রোববার প্রথম চট্টগ্রাম আসেন তিনি।
সকালে নগরীর মেহেদীবাগের নিজ বাসায় এসে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেন আমীর খসরু। দুপুরে তিনি নগরীর প্রবর্তক মোড়ে ইসকন মন্দির পরিদর্শন করে সার্বিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। পরে অসকার দীঘির পাড়ে রামকৃষ্ণ মন্দির পরিদর্শন করেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।