দলটির নিবন্ধন নম্বর ৪৫।
Published : 16 Feb 2023, 08:48 PM
উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেল বিএনপির এক সময়ের নেতা নাজমুল হুদার ‘তৃণমূল বিএনপি’।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
নতুন দলটির প্রতীক ‘সোনালি আঁশ’, নিবন্ধন নম্বর ৪৫। এখন এই প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে দলটি।
সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেওয়া হল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপি গঠনের সময়ই দলটিতে যুক্ত হন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে নিয়েছিলেন হুদাকে।
খালেদা জিয়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে রেখেছিলেন হুদাকে। ১৯৯১ সালে ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। তবে মাঝে একবার দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে পুনরায় ফিরেছিলেন তিনি।
তবে ২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকেবুকে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন হুদা। পরে সেই দল থেকে তাকেই বহিষ্কার করে ২০১৪ সালে এমপি হন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।
এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোটে ভেড়ার চেষ্টা করেন হুদা। তাতে সফল না হওয়ার পর গঠন করেন ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে নতুন দল।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ইসির নিবন্ধন পেতে আবেদন করে তৃণমূল বিএনপি। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন না করা, সরকার নির্ধারিত ফির চালান জমা না দেওয়া এবং নিবন্ধন দেওয়ার মতো তথ্য না থাকার কারণ দেখিয়ে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন নাজমুল হুদা। এরপর ওই বছরের নভেম্বরের শুরুতে তৃণমূল বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা লিভ টু আপিল গত ১৮ ডিসেম্বর খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এরপর বৃহস্পতিবার দলটিকে নিবন্ধন দিল নির্বাচন কমিশন।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনার আলমগীর জানিয়েছিলেন, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে তৃণমূল বিএনপিকে দ্রুতই নিবন্ধন দেওয়া হবে। আদালতই দলটির নির্বাচনী প্রতীক ‘সোনালি আঁশ’ ঠিক করে দিয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপনের কপি দলটির চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের পক্ষে একজন প্রতিনিধি তা সংগ্রহ করেছেন।
আদালতের আদেশে প্রতীকসহ নিবন্ধন দেওয়ায় তৃণমূল বিএনপির ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই, গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়াসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া করতে হয়নি ইসির।
গণসংহতি ও ইনসানিয়াত বিপ্লব নামে দুটি দলও নিবন্ধন পেতে আদালতে গেছে। তাদের বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ রয়েছে কি না, তা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন আলমগীর।