“একাত্তরের যারা বিশ্বাসঘাতক, হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, এখনো তারা বিশ্বাসঘাতক।”
Published : 26 Jul 2024, 02:19 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঘটে যাওয়া সংহিসতায় প্রতিটি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী এমন হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে না। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু সমর্থন করি না। প্রতিটি হত্যার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে, প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি চক্র যে আক্রমণ চালিয়েছে তা কোনো সভ্য জাতি মেনে নিতে পারে না।”
শুক্রবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাদের কথা বলছিলেন।
সরকার শুরু থেকেই কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবিকে ‘সমর্থন জানিয়ে আসছিল’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা তাদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমরা সতর্ক করে আসছিলাম, এই আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-শিবির হত্যা খুন সন্ত্রাস ও লুটপাট নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। সে আশংকাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।”
হাই কোর্টের রায়ে পর জুলাইয়ের শুরু থেকে কোটা বাতিলের আন্দোলন শুরু হলেও পরে তা কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে আরও অনেক স্থানে। পরে শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন কর্মসূচিকে ঘিরে এক পর্যায়ে তা সহিংসতায় গড়ায়।
আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের মধ্যে এক সপ্তাহে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর আসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়।
ক্ষমতাসীনদের দাবি, ছাত্রদের আন্দোলনের সুযোগে এসব নাশকতা ঘটিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।
কাদেরের ভাষ্য, “ওয়ানস বিট্রেয়ার অলওয়েজ বিট্রেয়ার, সেই সাথে মিলিয়ে বলতে চাই ওয়ানস কিলার, অলওয়েজ কিলার। একাত্তরের যারা বিশ্বাসঘাতক, হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, এখনো তারা বিশ্বাসঘাতক। পঁচাত্তরে যারা জাতির পিতা, বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তারা এখনো বিশ্বাসঘাতক, ২১ অগাস্ট শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।”
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রদল-শিবিরের সুইসাইড স্কোয়াড অনুপ্রবেশ করে একাত্তরের পাকিস্তানি কায়দায় হত্যা চালিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল, আফজাল হোসেন, হোসেন সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকে।