প্রায় ১০ মিনিট পর জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
Published : 26 Aug 2023, 09:56 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সামনে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়েছে।
শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় নির্বাক তাকিয়ে ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। আর সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল তখনও সভাস্থলে উপস্থিত হননি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ যুবলীগের নেতাদের বক্তব্য চলাকালে মতিঝিলের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুইটি মিছিল একসঙ্গে মাঠে প্রবেশ করে। তখন চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতি শুরু হয়। যুবলীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা মঞ্চ থেকে বারবার তাদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানালেও হাতাহাতি চলছিল। প্রায় ১০ মিনিট পর জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
যুবলীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, মতিঝিলের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামাল হোসেনের অনুসারীদের সঙ্গে একই ওয়ার্ডের সাবেক সহ-সভাপতি নূর ইসলাম নূরুর অনুসারীরা মারামারিতে জড়ায়। একপর্যায়ে দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা মঞ্চ থেকে নেমে এসে আহতদের সান্ত্বনা দেন।
মারামারি কেন হয়েছে, জানতে চাইলে নূর ইসলাম নূরু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্যাসিনো মামলার আসামি জামাল ও তার গ্রুপের লোকজন আজকে সমাবেশে এসেছে বিশৃঙ্খলা করার উদ্দেশ্যে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আমরা যারা আজকে এই আলোচনা সভায় এসেছি, তাদের উপরে অতর্কিত হামলা করছে জামালের লোকজন।
“জামালের সঙ্গে না থাকলে গুলি করে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে সে। আমাদের ৫টা মোবাইল ও টাকা ভর্তি তিনটা মানিব্যাগ নিয়ে গেছে জামালের লোকজন।”
তবে জামাল হোসেন বলেন, “নূরু হচ্ছে সাবেক যুবদল নেতা। তাকে কয়েকদিন আগে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার লোকজন প্রথমে হামলা করছে।"
মারামারি ও চেয়ার ছুড়াছুড়ির বিষয়ে জানার চেষ্টা করেও যুবলীগ চেয়ারম্যানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি মারামারির সময় ছিলাম না, পরে শুনেছি।"
কোনও ব্যবস্থা নেবেন কিনা, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ব্যবস্থা নেয়া তো উচিত, আমরা জানতে চেয়েছি কারা কারা এই মারামারি করেছে, আইডেন্টিফাই করে ব্যবস্থা নেব।"