আমীর খসরু বলেন, “দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে সম্ভাবনাগুলো আছে, তা আলোচনায় উঠে এসেছে।”
Published : 23 Aug 2024, 02:18 PM
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ।
শুক্রবার সকাল ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে আসেন পাকিস্তানের হাই কমিশনার। পৌনে এক ঘণ্টা তারা বৈঠক করেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য শ্যামা ওবায়েদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো আলোচনা করেছি। দুই দেশের মধ্যে যে সম্ভাবনাগুলো আছে, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে সম্ভাবনাগুলো আছে, তা আলোচনায় উঠে এসেছে।
“অবশ্যই দুই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখে, পারষ্পরিক সস্পর্ক রেখে, পারষ্পরিক শ্রদ্ধারোধ রেখে, একে অপরের মধ্যেকার সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয় যায়, সে বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।”
তিনি বলেন, “মূলত ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত্তি হচ্ছে কম্পারেটিভ অ্যাডভানটেজ। কম্পারেটিভ অ্যাডভানটেজের ভিত্তিতে যে অর্থনীতি, বাংলাদেশের তা অনেকদিন অনুপস্থিত ছিলে।
“এখানে পৃষ্ঠপোষকতার একটা ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল, পৃষ্ঠপোষকতার অর্থনীতি ছিল, যার কারণে কিছু মানুষ লাভবান হয়েছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। আমরা আলোচনা করেছি, বাংলাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে যাচ্ছে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে কম্পারেটিভ অ্যাডভানটেজের ভিত্তিতে, তাদের যেখানে অ্যাডভানটেইজ আছে সেখানে আমরা একে অপরের সাথে সহযোগিতা করব। দুই দেশের মধ্যে এবং পুরো রিজিয়নের মধ্যে আমরা সহযোগিতা করব।”
দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম আঞ্চলিক সহযোগিতা হয় জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, “আমরা সবাই পিছিয়ে আছি এক্ষেত্রে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে যে ইনটিগ্রেশনটা দরকার, শুধুমাত্র অর্থনীতি নয়, সবদিক থেকে একটা ইনটিগ্রেশন দরকার, এটা আমরা কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।”
তিনি বিলেন, “বিএনপির যে পররাষ্ট্রনীতি সকলের সাথে বন্ধুত্ব, সেই ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কসহ সব ধরনের অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
“একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসাধারণ যেখানে উপকৃত হবে, বাংলাদেশ যেখানে উপকৃত হবে, সেই ধরণের একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া, যেটা বিগত দিনে অনুপস্থিত ছিল আমরা মনে করি, লেভেল প্লেয়িং ঠিক রেখে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। এসব নিয়েই মূলত আলোচনা করেছি।”