গত বৃহস্পতিবারও দুটি মামলায় ২৯ জনের সাজা ঘোষণা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল।
Published : 10 Dec 2023, 06:17 PM
বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নাশকতার মামলায় রায় ঘোষণা হল পরপর দুই কর্মদিবসে।
রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী ২৫ জন নেতাকর্মীর তিন বছরের সাজা ঘোষণা করেছেন।
ভাঙচুর ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে পাঁচ বছর আগে রাজধানীর বংশাল থানায় মামলাটি করেছিল পুলিশ।
মামলার আসামিরা জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার দিন তারা উপস্থিত না হওয়ার পর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবারও দুটি মামলার সাজা ঘোষণা হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় ২০ জন এবং অপর মামলায় সাজা হয় ৯ জনের।
সেই মামলায় দণ্ডিতদের মধ্যে আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম মজনু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল।
আরও পড়ুন:
নাশকতা: যুবদল সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক দল সম্পাদকসহ ২৯ জনের সাজা
তিন দিনের ব্যবধানে আসা রায়ে দণ্ডিতদের মধ্যে আছেন ঢাকার ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. তাইজুদ্দিন ও মহিলা দলের ঢাকা দক্ষিণ সিটির সভাপতি রাজিয়া আলম।
আসামিদের আইনজীবী নীহার হোসেন ফারুক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিচারক জানান, আসামিদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তাদের শাস্তি কার্যকর করা হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বংশালের আহমেদ বাওয়ানী স্কুলের সামনে তাইজুর নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একদল নেতা-কর্মী জড়ো হন। তারা যানবাহন, দোকানপাট ভাঙচুর করে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় তাইজু, রাজিয়াসহ ২৩ জনকে আসামি করে বংশাল থানায় মামলা করে পুলিশ।
তদন্তের পর ২০১৯ সালের ৩০ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা পড়ে। ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
গত কয়েক মাসে নাশকতার আরও একাধিক মামলায় সাজা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি আছেন জেলার নেতা এবং কর্মীরাও।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণার পর তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।
এরপর থেকেই বিএনপি তার মুক্তির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিল।
এসব কর্মসূচির মধ্যে অক্টোবরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাতেও সাত বছরের সাজা দেয় বিচারিক আদালত। একই সময়ে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাই কোর্ট।