নাশকতা: যুবদল সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক দল সম্পাদকসহ ২৯ জনের সাজা

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নাশকতার দুটি মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম মজনু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ বিএনপির ২৯ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে রাজধানীর দুটি আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন দুটি মামলায় এই রায় দেন।

এর মধ্যে শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় সাজা হয়েছে ২০ জনের, গুলশান থানায় করা মামলায় সাজা হয়েছে ৯ জনের।

আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী কালাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০ জনের সাজা

শাহজাহানপুর এলাকায় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে নাশকতার অভিযোগে পুলিশ মামলাটি করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

দণ্ডবিধির ১৪৮ ও ৩৪ ধারায় আসামিদের দুই বছরের এবং দণ্ডবিধির ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আসামিদের দুই বছর করে সাজা ভোগ করলেই চলবে।

অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ৪৪ জনকে খালাসও দিয়েছেন রাজেশ চৌধুরী। এদের মধ্যে শফিউল বারী বাবু, আবুল হোসেন ওরফে লিলু ও শামসুর রহমান হুমায়ূন মামলা চলাকালেই মারা গেছেন।

ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব, যুবদলের সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছাড়া অন্য দণ্ডিতরা হলেন: ভাসানী চাকলাদার, মো. মহসীন, হানিফ হোসেন বাবু, বেলাল উদ্দিন, তারিকুল ইসলাম জিকির, মো. বাতেন, কাজী মো. জামাল, ইমরান খান ইমন, সোহাগ ভূঁইয়া, আবদুস সালাম খান, আরিফুর রহমান সুজন, শেখ শহিদুল্লাহ টিপু, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল্লাহ জামাল চৌধুরী আদিত্য, মো. সেলিম, আহমেদ ও হুমায়ূন কবির নাহিদ।

৯ জনের সাজা

২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গুলশানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল করে। এ সময় যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পুলিশের গুলশান থানার এসআই নজরুল ইসলাম।

২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

৯ আসামিকে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ছয় মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

একই আইনের ১৪৭ ধারায় দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের দেওয়া এই রায়ে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন: মেহেদী বাপ্পী, মাইনুল হাসান প্রকাশ মিশু, শরিফুল, জাকির হোসেন, মজিবুর রহমান প্রকাশ মজি, মামুন চৌধুরী, রুবেল হোসেন, আতিকুর রহমান ও বিল্লাল হোসেন।

অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আমিনুল ইসলাম নামে এক আসামিকে খালাসও দেন বিচারক।