আগামী ৫ এপ্রিল শুনানির দিন আছে।
Published : 31 Jan 2024, 09:59 PM
হেবিয়াস কর্পাস আবেদনের ওপর শুনানির আগে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমকে ফেরত পাঠাবে না দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।
নিউ স্ট্রেইটস টাইমস এক প্রতিবেদনে লিখেছে, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ বুধবার দেশটির হাই কোর্টের বিচারক কে মুনিয়ান্দিকে তাদের এ অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
ইমিগ্রেশন বিভাগের পক্ষে ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর নর আমালিনা ইসমাইল অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন।
এর আগে আইনজীবী এডমুন্ড বন আদালতকে বলেছিলেন, কাইয়ুমকে দুই দিনের মধ্যে ফেরত পাঠানো হবে বলে তার পরিবারকে ২৪ জানুয়ারি চিঠি দিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে গত ১২ জানুয়ারি কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়ার পুলিশ। দুই দিন পর ১৫ জানুয়ারি জানুয়ারি কাইয়ুমের জন্য হেবিয়াস কর্পাস (বন্দিকে প্রদর্শন) আবেদন করা হয়।
এরপর ১৮ জানুয়ারি ওই আবেদন গ্রহণ করে ৫ এপ্রিল শুনানির দিন রাখেন বিচারক।
এর মধ্যে ইমিগ্রেশন বিভাগের যে চিঠি পেয়েছে কাইয়ুমের পরিবার- তা ‘আদালত অবমাননার শামিল’ বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী বন। এখন ইমিগ্রেশন বিভাগ অঙ্গীকারনামা দেওয়ায় শুনানির আগে কাইয়ুমকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না।
বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুম এক সময় ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। সাবেক এই ওয়ার্ড কমিশনার ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে গুলশান-বাড্ডা আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন।
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, বিএনপি নেতা কাইয়ুমের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
পরের বছর পুলিশ যে অভিযোগপত্র দেয়, সেখানে কাইয়ুমসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। সেখানে বলা হয়, “হামলাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এ পরিকল্পনা করা হয়।”
তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডের পর কাইয়ুমের ভাই আব্দুল মতিনকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হলেও কাইয়ুম ছিলেন লাপাত্তা। তখন থেকেই তার মালয়েশিয়ায় অবস্থানের খবর আসে সংবাদমাধ্যমে।
কাইয়ুমের গ্রেপ্তারকে ‘অন্যায্য’ বর্ণনা করে এর আগে মানবাধিকার সংগঠন সুয়ারা রাকায়েত মালয়েশিয়ার নির্বাহী পরিচালক সেভান দোরাইস্বামী বলেছিলেন, কাইয়ুম জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর স্বীকৃত ‘শরণার্থী’। তার ইএনএইচসিআর কার্ড আছে।
হেবিয়াস কর্পাস আবেদনে কাইয়ুমের মেয়ে যে হলফনামা যুক্ত করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, তার বাবা ১৫ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন।
কাইয়ুমের পাসপোর্টে মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম কর্মসূচির ভিসা আছে বলেও সেখানে দাবি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতার মেয়ে দাবি করেছেন, কাইয়ুমকে জোর করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ‘আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে’ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাইয়ুমকে বাংলাদেশে পাঠালে তার নিরাপত্তা ‘হুমকির মুখে পড়বে’ এবং ‘রাজনৈতিক নিপীড়নের মুখোমুখি’ হতে হবে বলেও হলফনামায় দাবি করা হয়েছে।
পুরনো খবর