দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধন চাইছে দলগুলো।
Published : 01 Nov 2022, 12:32 AM
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলের সংখ্যা ৯৮ এ পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।
সোমবার তিনি বলেছেন, “নির্ধারিত সময়ে অনেক দল আবেদন ‘ডেসপ্যাচে’ জমা দিয়েছিল। সেগুলো সংশ্লিষ্ট ডেস্কে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে৷ সব মিলিয়ে এখন ৯৮টির আবেদন পাওয়া গেছে।”
এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসির কাছে উপস্থাপনের সময়ই পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে।
চার মাস ধরে আবেদন জমার সুযোগ দিয়েছিল ইসি, যার শেষ সময় ছিল রোববার। ওই দিন সংখ্যায় প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ইসির জনসংযোগ শাখা জানিয়েছিল, তখন পর্যন্ত ৮০ টি দলের আবেদন পাওয়া গেছে।
সোমবার আরও যে ১৮ দলের আগ্রহের তথ্য মিলেছে, সেগুলো হলো- বাংলাদেশ গরিব পার্টি, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি-বিপিপি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট (বিজেএফ), বাংলাদেশ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টি-বিএসপি, বাংলাদেশ সৎ সংগ্রামী ভোটার পার্টি, জাতীয় ইসলামী মহাজোট, ফরওয়ার্ড পার্টি, ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (রশীদ খান), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী গ্রুপ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (আব্দুল জলিল), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ (বিজেএল), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা ফাউন্ডেশন-আসফ ও স্বদেশ কল্যাণ কর্মসূচি।
নিবন্ধন চায় ৮০ দল: ইত্যাদি পার্টি, মুসকিল লীগের নামও তালিকায়
২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথম চালু হয়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১২৬টি দল আবেদন করলে ৩৯টি দল শর্ত পূরণ করেছে সাপেক্ষে নিবন্ধন পায়।
এর পরে দশম সংসদে ৪৩টি দলের আবেদন এলে আরও তিনটি দল ২০১৩ সালে নিবন্ধন পায়।
সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ৭৬টি দল আবেদন করলেও নিবন্ধনের যোগ্য একটিও বিবেচিত হয়নি। অবশ্য আদালতে গিয়ে ২০১৯ সালে দুটি দল আদেশ নিয়ে এলে যুক্ত হয়।
সব মিলিয়ে ৪৪টি দল নিবন্ধন পেলেও ফ্রিডম পার্টি, জামায়াতে ইসলাম, জাগপা, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপি- এই পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়। ফলে বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৩৯।