দুপুরে ডিবি আফিস থেকে তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
Published : 15 Sep 2024, 01:21 PM
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী, মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে চাইবে পুলিশ।
আদাবর থানার ওসি মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, শনিবার রাতে গ্রেপ্তারের পর ফরহাদ হোসেনকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
“আজ দুপুরে ডিবি আফিস থেকে তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।“
শনিবার রাতে ঢাকার নিউ ইস্কাটন এলাকার ৩৯৮ নম্বর বাড়ি থেকে ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে মেহেরপুর থানায় তিনটি এবং ঢাকার আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, “তাকে আমরা আদাবর থানার মামলায় হস্তান্তর করেছি।”
গত ৫ অগাস্টে আদাবরে গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলাম আদাবর থানায় ওই হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ফরহাদ হোসেন এজাহারনামীয় আসামি।
মামলার এজাহারে বাদী রফিকুল ইসলাম বলেছেন, রুবেল ৫ অগাস্ট আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।ওই সময় ‘আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য-সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে’ কেউ মিছিলে গুলি ছোড়ে।তাতে রুবেলের বুকে ও পেটে গুলি লাগে।চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ অগাস্ট হাসপাতালে মারা যান রুবেল।
ফরহাদ হোসেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর আগের সরকারে একই মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেহেরপুর-১ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি।
গণ আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা। এসব মন্ত্রী-এমপিদের নামে হত্যা মামলাই বেশি দায়ের করা হয়েছে।