“আমরা জনপ্রতিনিধিরা যদি সৎ থাকি, তাহলে দুর্নীতিবাজরা পালিয়ে যাবে”, বলেন তিনি।
Published : 03 Jul 2024, 08:44 PM
মন্ত্রী ও সচিব সৎ থাকলে সেই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি থাকতে পারে না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।বলেছেন জনপ্রতিনিধিরা সৎ হলে দুর্নীতিবাজরা কিছু করতে পারবে না।
বুধবার বিকালে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে এক আলোচনা সমাবেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতা এসব কথা বলেন।
৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সমাবেশে তিনি বলেন, “দোয়া করবেন যেন মানুষের খেদমত করতে পারি, যেন কোনোদিন খারাপ কাজ না করি। মন্ত্রী হয়ে যেন ক্ষমতার অপব্যবহার না করি, মন্ত্রী হয়ে যেন দুর্নীতি না করি, মন্ত্রী হয়ে যেন লুটপাট না করি। আপনারা দোয়া করবেন, সে বদনামের ভাগীদার হতে চাই না।”
সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলবে মন্তব্য করে কাদের বলেন, “বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত গড়তেই হবে। শেখ হাসিনার অঙ্গীকার আমরা অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করে ছাড়ব।
“আমরা জনপ্রতিনিধিরা যদি সৎ থাকি, তাহলে দুর্নীতিবাজরা পালিয়ে যাবে। আমাদের জনপ্রতিনিধিদের সৎ মানুষ হিসেবে থাকতে হবে। একটা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব যদি সৎ হয়, ওই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি থাকতে পারে না।”
বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার মত এত সৎ নেতা একজনও আসেনি উল্লেখ করে কাদের বলেন, “এত পরিশ্রমী নেতা, দক্ষ প্রশাসক, সফল কূটনীতিক, জনপ্রিয় নেতা আরেকজন কি এসেছেন? উনি আল্লাহর পাঠানো বান্দা বাংলাদেশের জনগণের জন্য।
“বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন স্বাধীনতা, তার কন্যা শেখ হাসিনা এসেছেন আল্লাহর রহমতে মুক্তি দেওয়ার জন্য। পিতা দিয়েছেন স্বাধীনতা, কন্যা দেবেন মুক্তি। সে মুক্তির সংগ্রাম দেশে চলছে। ২০৪১, তারপর ২১০০ সাল, শেখ হাসিনার টার্গেট অনেক লম্বা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা অবধি তিনি যতদিন বেঁচে আছেন তার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম-লড়াই চালিয়ে যাব।”
রিজার্ভ বেড়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “২৭ এ (বিলিয়ন ডলার) পৌঁছে গেছে, ভয়ের কারণ নেই। রেমিটেন্সও বেড়ে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ শেখ হাসিনার চেষ্টায় জিনিসপত্রের দামও কমে আসবে।”
ঢাকার সব উপজেলায় যাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হলে আওয়ামী লীগের ইঞ্জিন শক্তিশালী করতে হবে। সেই ইঞ্জিন হল ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ। সেজন্য আবারও আমরা জনতার কাছে মিলিত হব।”
অক্টোবর থেকে শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও নেতাকর্মীদের বলেন কাদের।
‘বিএনপির মনের জোর কমেছে, বেড়েছে গলার জোর’
এমন মন্তব্য করে কাদের বলেন, “একটা কথা আছে, মানুষের শক্তি যত কমে মুখের ‘বিষ’ তত উগ্র হিয়ে যায়। বিএনপি নেতাদের মুখে কোনো ট্যাক্স নাই, লাগাম নাই। লাগাম দিয়ে টানবেন, লাভ নাই!
“গাড়ির চালক বেপরোয়া হলে যে অবস্থা হয় রাজনীতিতে বিএনপি বেপরোয়া চালক। কখন কোথায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে বলা যায় না।”
সড়ক, নদী পথে নয়, বিএনপি আকাশ পথে চলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “মধ্যরাতে ফরমান, নেতাদের দিনের আরাম, রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে, কখন তারেক রহমানের ডাক আসে, কখন কার ‘চাকরি নট’ হয়ে যায় কেউ জানে না।
“ফখরুল সাহেবও শান্তিতে নাই, বড় বড় নেতারা সবাই আতঙ্কে আছেন, তারেক আতঙ্কে। কখন কার চেয়ার খেয়ে ফেলে সে ভয়ে সবাই থর থর করে কাঁপছে।”
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমদের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।