পল্টন থানায় পুলিশ হত্যা ও নাশকতার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন আমীর খসরুও। আরও সাত মামলায় তার জামিন শুনানি বৃহস্পতিবার।
Published : 17 Jan 2024, 04:56 PM
এক সঙ্গে ৯ মামলায় জামিনের এক সপ্তাহ পর আরো একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুটি মামলায় জামিন পেয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম তাহমিনা হকের আদালত ১০ হাজার টাকার বন্ডে তাদের জামিন দেওয়ার আদেশ দেন।
তবে আরো মামলা থাকায় বিএনপির দুই নেতার মুক্তি মিলছে না এখনই।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশের অদূরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গ্রেপ্তার হন এই দুটি নেতা।
সেদিন সংঘাতের পর সমাবেশ চালিয়ে না গিয়ে হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। সেদিন সকালেই গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ফখরুল। বিএনপি এরপর থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করলে ২ নভেম্বর গভীর রাতে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার হন আমীর খসরু।
ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায়, আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় সংঘর্ষের দিন পল্টনে পুলিশ হত্যা মামলায়।
সেদিন সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয় মোট ৩৬টি। এর মধ্যে মির্জা ফখরুলকে মোট ১১টি মামলায় এবং আমির খসরুকে আসামি করা হয় ৯টি মামলায়।
গত ১০ ডিসেম্বর ৯টি মামলায় একসঙ্গে জামিন পান মির্জা ফখরুল। বাকি থাকা দুটি মামলার একটি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় এবং অপরটি পল্টনে নাশকতার ঘটনায় করা হয়।
এর মধ্যে পল্টনে নাশকতার মামলাটিতে জামিন পেয়েছেন ফখরুল।
বিচারক জানান, পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত জামিনে থাকবেন তিনি।
তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় জামিন না মেলায় এখনই কারামুক্ত হচ্ছেন না তিনি।
আমীর খসরু জামিন পেয়েছেন পুলিশ হত্যা ও পল্টন থানায় নাশকতার মামলায়।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানিয়েছেন, আমীর খসরুর বিরুদ্ধে বাকি ৭ মামলায় মামলায় জামিন শুনানি হবে বৃহষ্পতিবার।
বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে তার সাতটিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখায়নি পুলিশ। গত ৯ জানুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জামিন আবেদন নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছে।
পর দিনই এক মামলার আবেদন নিষ্পত্তি করা হল।