পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ‘দুই-তৃতীয়াংশই’ বাস্তবায়ন হয়নি

চুক্তির ‘যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ’ বাস্তবায়নের দাবি তুলেছে বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2022, 01:49 PM
Updated : 1 Dec 2022, 01:49 PM

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ‘যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ’ বাস্তবায়নের দাবি তুলেছে বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন।

এই চুক্তি স্বাক্ষরের ২৫ বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।  

বিবৃতিতে বলা হয়, “এই চুক্তি ২৫ বছরেও যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়ে কাঙ্ক্ষিত শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং পরিস্থিতি বছরের পর বছর জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে।”

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামী লীগ সরকার একটানা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকেও ওই চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেনি বলেও অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, “সরকারের পক্ষ থেকে ৭২টি বিষয়ের মধ্যে ৪৮টি বাস্তবায়িত হয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে, যা অসত্য এবং অপপ্রচার মাত্র। বাস্তবিকপক্ষে চুক্তির ২৫টি বিষয় বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র। মৌলিক বিষয়সহ এখনও চুক্তির দুই-তৃতীয়াংশ বিষয় অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে।”

ছাত্র সংগঠনগুলোর তরফে বলা হয়, “আমরা ক্রমাগত লক্ষ্য করছি যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে কেবল বন্ধই রাখা হয়নি, একই সাথে চুক্তি স্বাক্ষরকারী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মিথ্যা মামলা, ধরপাকড়, হামলা ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে কোণঠাসা ও নস্যাৎ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার ও শাসকগোষ্ঠী।”

অন্যদিকে পার্বত্য চুক্তির বিরোধিতা করে গড়ে ওঠা ইউপিডিএফের পাশাপাশি জনসংহতি সমিতি (সংস্কারপন্থি), ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক), মগপার্টি, কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (বম পার্টি), পাহাড়ে বসতি স্থাপনকারী বাঙালিদের সংগঠনের বিরুদ্ধে তেমন তৎপরতা দেখা যায় না বলেও অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমন মারমা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি অতুলন দাশ আলো এবং বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ।